ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে আটক ছেলের নিজেকে মাদকাসক্ত দাবি।। বাবার স্বীকারোক্তি।।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড আচারগাঁও উত্তরপাড়ায় ইদানিং চুরির ঘটনা অত্যধিক বেড়ে গেছে। প্রত্যেক সপ্তাহে কারো না কারো বাড়িতে কোনো না কোনো জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এলাকার মানুষ উৎকণ্টার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৯ আগস্ট ) দিবাগত রাত অনুমান ৩ ঘটিকার সময় একটি সংঘবদ্ধ চক্র অত্র এলাকায় প্রবেশ করার সংবাদ পেয়ে এলাকার সচেতন যুবসমাজ তাদেরকে ধরার জন্য চেষ্টা করে। মরহুম আব্দুল বারিকের পুত্র মোঃ সজিব মিয়ার নেতৃত্বে চক্রের একজনকে ধরা সম্ভব হয়।

বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

চুরির উদ্দেশ্যে এলাকায় অনুপ্রবেশের ঘটনায় ধৃত ব্যক্তির নাম মোঃ মনু মিয়া। সে একই ওয়ার্ডের ঝাউগড়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র। সে প্রায় সময়ই বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। সারারাত তাকে আটক করে রাখার পর সকালে তার বাবাকে খবর দেওয়া হয়। বাবা

আবুল কাশেমের ভাষ্য মতে, মনু মিয়া কিছু নেশাগ্রস্ত ছেলের সাথে চলাফেরা করে এবং ছোটখাট অপকর্মের সাথেও সে জড়িত রয়েছে।

ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ না করে পিতা হিসেবে সংশোধন করার একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর কাছে আকুতি জানান আবুল কাশেম।

উল্লেখ্য গত কিছুদিনের মধ্যে এরশাদ হোসেনের অটোরিকশার ব্যাটারি, মারুফ মিয়ার মোবাইল ও অটোরিকশার ব্যাটারি, জুয়েল মীরের ঘরের স্বর্ণালংকার, আব্দুল কাদিরের অটোরিকশার ব্যাটারি, আচারগাঁও উত্তরপাড়া সৌর সেচ প্রকল্পের ব্যবহৃত একটি জল মোটর ও লোহার মই, রমজান

আলীর পাওয়ার টিলারের ইঞ্জিন সহ বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

সবগুলো চুরির ঘটনায় সোর্স হিসেবে কাজ করেছে সন্দেহে এলাকাবাসী মনু মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়৷

তখন তার বাবার আকুতিতে সংশোধন হওয়ার জন্য সালিশের মাধ্যমে আবুল কাশেম ও অকুল মিয়ার দ্বায়িত্বে মনু মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এসময় সালিশে উপস্থিত ছিলেন উক্ত এলাকার আব্দুল লতিফ, আশরাফ উদ্দীন, রফিকুল ইসলাম বাবুল, সজিব মিয়া, আহাম্মদ হোসেন ফকির, লাল মিয়া মন্ডল, যুবদল নেতা মোঃ আল আমিন, আব্দুল হেলিম, আক্কাছ উদ্দীন, হীরা মীর, দৈনিক সারাবেলা প্রতিনিধি মোশারফ কবীর ও যাদের

বাড়িতে ইতোমধ্যে চুরি হয়েছে তারা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সালিশটি মোঃ চাঁন মিয়া মিস্ত্রির বাড়ির সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মনু মিয়া ও তার বাবার কাছ থেকে ভিডিও স্বীকারোক্তি রাখে এলাকাবাসী। ভিডিও বয়ানে মনু মিয়া নিজেকে মাদকাসক্ত বলে স্বীকার করে। এবং তার বাবা আবুল কাশেমও একই কথা বলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে আটক ছেলের নিজেকে মাদকাসক্ত দাবি।। বাবার স্বীকারোক্তি।।

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড আচারগাঁও উত্তরপাড়ায় ইদানিং চুরির ঘটনা অত্যধিক বেড়ে গেছে। প্রত্যেক সপ্তাহে কারো না কারো বাড়িতে কোনো না কোনো জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এলাকার মানুষ উৎকণ্টার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৯ আগস্ট ) দিবাগত রাত অনুমান ৩ ঘটিকার সময় একটি সংঘবদ্ধ চক্র অত্র এলাকায় প্রবেশ করার সংবাদ পেয়ে এলাকার সচেতন যুবসমাজ তাদেরকে ধরার জন্য চেষ্টা করে। মরহুম আব্দুল বারিকের পুত্র মোঃ সজিব মিয়ার নেতৃত্বে চক্রের একজনকে ধরা সম্ভব হয়।

বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

চুরির উদ্দেশ্যে এলাকায় অনুপ্রবেশের ঘটনায় ধৃত ব্যক্তির নাম মোঃ মনু মিয়া। সে একই ওয়ার্ডের ঝাউগড়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র। সে প্রায় সময়ই বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। সারারাত তাকে আটক করে রাখার পর সকালে তার বাবাকে খবর দেওয়া হয়। বাবা

আবুল কাশেমের ভাষ্য মতে, মনু মিয়া কিছু নেশাগ্রস্ত ছেলের সাথে চলাফেরা করে এবং ছোটখাট অপকর্মের সাথেও সে জড়িত রয়েছে।

ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ না করে পিতা হিসেবে সংশোধন করার একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর কাছে আকুতি জানান আবুল কাশেম।

উল্লেখ্য গত কিছুদিনের মধ্যে এরশাদ হোসেনের অটোরিকশার ব্যাটারি, মারুফ মিয়ার মোবাইল ও অটোরিকশার ব্যাটারি, জুয়েল মীরের ঘরের স্বর্ণালংকার, আব্দুল কাদিরের অটোরিকশার ব্যাটারি, আচারগাঁও উত্তরপাড়া সৌর সেচ প্রকল্পের ব্যবহৃত একটি জল মোটর ও লোহার মই, রমজান

আলীর পাওয়ার টিলারের ইঞ্জিন সহ বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

সবগুলো চুরির ঘটনায় সোর্স হিসেবে কাজ করেছে সন্দেহে এলাকাবাসী মনু মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়৷

তখন তার বাবার আকুতিতে সংশোধন হওয়ার জন্য সালিশের মাধ্যমে আবুল কাশেম ও অকুল মিয়ার দ্বায়িত্বে মনু মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এসময় সালিশে উপস্থিত ছিলেন উক্ত এলাকার আব্দুল লতিফ, আশরাফ উদ্দীন, রফিকুল ইসলাম বাবুল, সজিব মিয়া, আহাম্মদ হোসেন ফকির, লাল মিয়া মন্ডল, যুবদল নেতা মোঃ আল আমিন, আব্দুল হেলিম, আক্কাছ উদ্দীন, হীরা মীর, দৈনিক সারাবেলা প্রতিনিধি মোশারফ কবীর ও যাদের

বাড়িতে ইতোমধ্যে চুরি হয়েছে তারা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সালিশটি মোঃ চাঁন মিয়া মিস্ত্রির বাড়ির সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মনু মিয়া ও তার বাবার কাছ থেকে ভিডিও স্বীকারোক্তি রাখে এলাকাবাসী। ভিডিও বয়ানে মনু মিয়া নিজেকে মাদকাসক্ত বলে স্বীকার করে। এবং তার বাবা আবুল কাশেমও একই কথা বলেন।