ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীর মনোহরদীতে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও ঘর-বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নরসিংদীর মনোহরদীতে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও ঘর-বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়,মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের রসূলপুর গ্রামের ১/পলাশ মিয়া(৩০),পিতা মৃত-মজনু মিয়া,২/শ্রাবন মিয়া(১৯),পিতা-মোকাররম ৩/উজ্জল মিয়া(১৯) পিতা-জামাল উদ্দীন ৪/ মেহেদী

হাসান(২৬) পিতা-সোনা মিয়া ৫/ মুন্না মিয়া পিতামূত-তাজউদ্দীন তাজুসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের একই গ্রামের সুন্দর আলী বেপারীর মেয়ে সাধনা

বেগম(৫০)বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।

বাদী সাধনা বেগম মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাব জানান,শনিবার(২৫ আগষ্ট)সন্ধ্যা আনুমানিক- ৭ টার দিকে উপরোক্ত বিবাদীগণ ১০-১২ জন অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারী লাঠি ও মারাত্মক দেশীয় অস্ত্র নিয়া দলবদ্ধ

বেআইনিভাবে আমার বাড়ীতে আসিয়া পুরানো কাগজে মুড়ানো কয়েকটি পুইরা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে এগুলো গাঁজা ও ইয়াবার পুইরা বলিয়া আমার নিকট টাকা দাবী করে।

আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে এবং আমার তিনটি ঘর ও জানালার কাঁচ ও ঘরের ভিতরে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে ঘরের ভিতরে থাকা আসবাব

পত্র ভাংচুর করতে থাকে।গালিগালাজ ও ক্ষতি না করার জন্য বিবাদীগণকে দুহাই দিলেও তাহারা তা না মানিয়া ১ নং বিবাদীরা হুকুমে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৩ নং বিবাদী তার দুই হাত দিয়ে আমার গলা ও ঘাড়ে

চেঁপে ধরে।এতে আমার গলায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়।অন্যান্য বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লাঁঠি দিয়ে আমাকে মাথাসহ শরীরের নানা অংশে উপর্যুপরি আঘাতে নীলা-ফুলা জখম করে।

২ নং বিবাদী আমার চুলে ও পরনে পরিহিত জামা কাপড় টানিয়া শ্লীলতাহানি করে আমার গলা থেকে আটআনা ওজনের একটি চেইন ছিনিয়ে নেয়।যাহার বাজার মূল্য-৬৫,০০০/-হাজার টাকা।অন্যান্য বিবাদীদের

সহায়তায় ১ নং বিবাদী আমার বাবার আলমারী হতে ২০,০০০/-টাকা ও অনুমান-১,২০,০০০/-টাকা মূল্যের এক ভরি স্বর্ণের গহনা এবং ৩ নং বিবাদী আমার বিছানার উপর থাকা ২০,০০০/- ১৩,০০০/- ও ১৯,০০০

টাকার ৩ টি এন্ডুয়েট মোবাইল সেট নিয়ে যায়।

আমার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তীরা আমাকে মারাত্নক নীলা-ফুলা ও জখম অবস্থায় বিবাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার করিতে আসিলে উপস্থিত লোকজনের সামনে ১ নং বিবাদী প্রকাশ্যে থানায় বা কোর্টে

মামলা করলে আমাকে খুন করার হুমকী প্রদান করে।

ঘটনার সময় আমার ভাই আলমগীর বাড়ীতে ছিল না।সংবাদ পেয়ে সে বাড়ীতে এসে আমাকে আশংকাজনক অবস্থায় সিএনজিযোগে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।বিবাদীগণ আমার ঘর ও ঘরের

জানালার কাঁচ ভাংচুর ও সবকিছু হাতিয়ে নেওয়া মালামালসহ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে যা ঘটনাস্থলে বিদ্যমান রয়েছে।এ ঘটনায় জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে মনোহরদী থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি

মামলা দায়ের করি।

এমতাবস্থায় উপরোক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের মাধ্যমে মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ এর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

 

এ বিষয়ে মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় এবং ওয়াটসআপে নক করেও কোন উত্তর না পাওয়ায় উনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নরসিংদীর মনোহরদীতে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও ঘর-বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

নরসিংদীর মনোহরদীতে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও ঘর-বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়,মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের রসূলপুর গ্রামের ১/পলাশ মিয়া(৩০),পিতা মৃত-মজনু মিয়া,২/শ্রাবন মিয়া(১৯),পিতা-মোকাররম ৩/উজ্জল মিয়া(১৯) পিতা-জামাল উদ্দীন ৪/ মেহেদী

হাসান(২৬) পিতা-সোনা মিয়া ৫/ মুন্না মিয়া পিতামূত-তাজউদ্দীন তাজুসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের একই গ্রামের সুন্দর আলী বেপারীর মেয়ে সাধনা

বেগম(৫০)বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।

বাদী সাধনা বেগম মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাব জানান,শনিবার(২৫ আগষ্ট)সন্ধ্যা আনুমানিক- ৭ টার দিকে উপরোক্ত বিবাদীগণ ১০-১২ জন অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারী লাঠি ও মারাত্মক দেশীয় অস্ত্র নিয়া দলবদ্ধ

বেআইনিভাবে আমার বাড়ীতে আসিয়া পুরানো কাগজে মুড়ানো কয়েকটি পুইরা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে এগুলো গাঁজা ও ইয়াবার পুইরা বলিয়া আমার নিকট টাকা দাবী করে।

আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে এবং আমার তিনটি ঘর ও জানালার কাঁচ ও ঘরের ভিতরে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে ঘরের ভিতরে থাকা আসবাব

পত্র ভাংচুর করতে থাকে।গালিগালাজ ও ক্ষতি না করার জন্য বিবাদীগণকে দুহাই দিলেও তাহারা তা না মানিয়া ১ নং বিবাদীরা হুকুমে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৩ নং বিবাদী তার দুই হাত দিয়ে আমার গলা ও ঘাড়ে

চেঁপে ধরে।এতে আমার গলায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়।অন্যান্য বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লাঁঠি দিয়ে আমাকে মাথাসহ শরীরের নানা অংশে উপর্যুপরি আঘাতে নীলা-ফুলা জখম করে।

২ নং বিবাদী আমার চুলে ও পরনে পরিহিত জামা কাপড় টানিয়া শ্লীলতাহানি করে আমার গলা থেকে আটআনা ওজনের একটি চেইন ছিনিয়ে নেয়।যাহার বাজার মূল্য-৬৫,০০০/-হাজার টাকা।অন্যান্য বিবাদীদের

সহায়তায় ১ নং বিবাদী আমার বাবার আলমারী হতে ২০,০০০/-টাকা ও অনুমান-১,২০,০০০/-টাকা মূল্যের এক ভরি স্বর্ণের গহনা এবং ৩ নং বিবাদী আমার বিছানার উপর থাকা ২০,০০০/- ১৩,০০০/- ও ১৯,০০০

টাকার ৩ টি এন্ডুয়েট মোবাইল সেট নিয়ে যায়।

আমার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তীরা আমাকে মারাত্নক নীলা-ফুলা ও জখম অবস্থায় বিবাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার করিতে আসিলে উপস্থিত লোকজনের সামনে ১ নং বিবাদী প্রকাশ্যে থানায় বা কোর্টে

মামলা করলে আমাকে খুন করার হুমকী প্রদান করে।

ঘটনার সময় আমার ভাই আলমগীর বাড়ীতে ছিল না।সংবাদ পেয়ে সে বাড়ীতে এসে আমাকে আশংকাজনক অবস্থায় সিএনজিযোগে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।বিবাদীগণ আমার ঘর ও ঘরের

জানালার কাঁচ ভাংচুর ও সবকিছু হাতিয়ে নেওয়া মালামালসহ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে যা ঘটনাস্থলে বিদ্যমান রয়েছে।এ ঘটনায় জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে মনোহরদী থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি

মামলা দায়ের করি।

এমতাবস্থায় উপরোক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের মাধ্যমে মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ এর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

 

এ বিষয়ে মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় এবং ওয়াটসআপে নক করেও কোন উত্তর না পাওয়ায় উনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।