ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হুরুয়া জুনিয়র ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে সাত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার।। মনোহরদীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান নরসিংদীতে ব্র্যাকের “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত সততা চর্চার অভ্যাস গড়তে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ফুলপুর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নয়া কমিটি গঠন সভাপতি মাওঃ আবু রায়হান, সম্পাদক মাওঃ আওলাদ রাজশাহীতে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতাদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনে দর্শনার্থীদের সুবিদায় নদী খনন রায়পুরায় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মনবাড়িয়া অনার্সের কেন্দ্র স্থানান্তরের দাবীতে মানব বন্ধন

মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ লাপাত্তা,দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে নরসিংদীর মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৭ই আগস্ট) ১১ টায় কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী

কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুইদিনের মধ্যে অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীরা পাঠদান বর্জন করে নতুন কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে জানান, অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক দীর্ঘদিন ধরে কলেজে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে আসছেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি নামে-বেনামে বিভিন্ন বিল-ভাউচার দিয়ে কলেজের

অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের আয় ব্যায়ের হিসাব কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কলেজে ভর্তি ও ফর্ম ফিলাপের মাধ্যমেও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ

করেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লেজুড়বৃত্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন–বিরোধী ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাকে

কলেজে আসার জন্য বার বার ফোন দিলেও তিনি আসেন নি।

এ ছাড়া অধ্যক্ষের উদাসীনতায় কলেজটিতে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন। পরে শিক্ষার্থীরা ওই অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে এক দফা দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষা অধিদফতর ও দূর্নীতি দমন কমিশনে

অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাইনি। যে সকল শিক্ষক তার দূর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছেন, তিনি তার অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সেই শিক্ষকদের শোকজ করতেন। তার কাছে অসহায় ছিল কলেজের পুরো স্টাফ।

এই বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এই বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাশেম ভূইয়া জানান, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। যেহেতু কলেজেটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (ইউএনও) স্যার। আমি

শিক্ষার্থীদের বলেছি (ইউএনও) স্যারের কাছে অভিযোগ জানাতে। তিনি আমাকে বললে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাছিবা খান বলেন, অধ্যক্ষের কলেজে না আসার বিষয়ে শিক্ষকেরা অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা যায়, তৎকালীন সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের মাধ্যমে ২০১২ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান গোলাম ফারুক। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সরকারিকরনের কাজ,

ফরম ফিলাপ, কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বাহানায় ১ যুগ ধরে কলেজ থেকে প্রায় ১৪/১৫ কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে বলে দাবি করেছেন কলেজ সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ লাপাত্তা,দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:১৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে নরসিংদীর মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৭ই আগস্ট) ১১ টায় কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী

কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুইদিনের মধ্যে অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীরা পাঠদান বর্জন করে নতুন কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে জানান, অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক দীর্ঘদিন ধরে কলেজে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে আসছেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি নামে-বেনামে বিভিন্ন বিল-ভাউচার দিয়ে কলেজের

অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের আয় ব্যায়ের হিসাব কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কলেজে ভর্তি ও ফর্ম ফিলাপের মাধ্যমেও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ

করেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লেজুড়বৃত্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন–বিরোধী ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাকে

কলেজে আসার জন্য বার বার ফোন দিলেও তিনি আসেন নি।

এ ছাড়া অধ্যক্ষের উদাসীনতায় কলেজটিতে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন। পরে শিক্ষার্থীরা ওই অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে এক দফা দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষা অধিদফতর ও দূর্নীতি দমন কমিশনে

অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাইনি। যে সকল শিক্ষক তার দূর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছেন, তিনি তার অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সেই শিক্ষকদের শোকজ করতেন। তার কাছে অসহায় ছিল কলেজের পুরো স্টাফ।

এই বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ গোলাম ফারুকের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এই বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাশেম ভূইয়া জানান, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। যেহেতু কলেজেটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (ইউএনও) স্যার। আমি

শিক্ষার্থীদের বলেছি (ইউএনও) স্যারের কাছে অভিযোগ জানাতে। তিনি আমাকে বললে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাছিবা খান বলেন, অধ্যক্ষের কলেজে না আসার বিষয়ে শিক্ষকেরা অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা যায়, তৎকালীন সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের মাধ্যমে ২০১২ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান গোলাম ফারুক। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সরকারিকরনের কাজ,

ফরম ফিলাপ, কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বাহানায় ১ যুগ ধরে কলেজ থেকে প্রায় ১৪/১৫ কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে বলে দাবি করেছেন কলেজ সংশ্লিষ্টরা।