১৫ বছরে জামায়াতের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম হয়েছে : জামায়াতের আমির
- আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
নরসিংদীর ব্রাহ্মন্দীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলায় নিহত ১৯ জনের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন জামায়াত আমির ড. শফিকুর রহমান।
নরসিংদীর ব্রাহ্মন্দীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলায় নিহত ১৯ জনের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন জামায়াত আমির ড. শফিকুর রহমান।
গত সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনামলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর সবচেয়ে নির্যাতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি শুক্রবার সকালে নরসিংদীর
ব্রাহ্মন্দীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নরসিংদীতে নিহত ১৯ জনের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছর একটি দলের ওপর যে রকম জুলুম করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্য কোনো দলের ওপর সে জুলুম করা হয়নি। সে দলটার নাম
হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘একে একে ১১ জন দায়িত্বশীল শীর্ষ নেতাকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় বিচারের নামে জুলুম করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের শত শত কর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার কর্মীকে পঙ্গু
করা হয়েছে। দুই নয়ন খুলে নেওয়া হয়েছে। গুলি করে অন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাত কেটে ফেলা হয়েছে, পা কেটে ফেলা হয়েছে। কী যন্ত্রণা আমরা বুকে নিয়ে চলছিলাম,তা বুঝানোর ভাষা নেই।
কিন্তু আমরা পরিষ্কার ঘোষণা করেছি, কারও ওপর প্রতিশোধ নেব না। যোগ করেন জামায়ত আমির।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, প্রতিহিংসা সমাজে খুনের পরিবেশ সৃষ্টি করে। আমরা সামগ্রিকভাবে ক্ষমা করে দিতে চাই। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে যে অপরাধ করেছে, ইনসাফের দাবি
হচ্ছে তাকে তার অপরাধের শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু তাই বলে আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেব না।’
নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য
সাইফুল আলম খান মিলন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মকবুল হোসেন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ছাত্র শিবির সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম, শহর ছাত্রশিবির সভাপতি
রুহুল আমিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান তুলে দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এসময় তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।