ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগের পরেও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা হালুয়াঘাটে ভারতীয় অবৈধ ২০ বোতল মদসহ আটক ৩ নবাগত নির্বাহী অফিসারের সাথে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের শুভেচ্ছা বিনিময় নরসিংদীর ফসলের মাঠ থেকে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই ফরিদপুর-মাগুরা রেলপথ প্রকল্পের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনে দর্শনার্থীদের সুবিদায় নদী খনন তালা ভেঙ্গে কাপড় ব্যবসায়ীর দোকানে চুরি !! রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে অষ্ঠপ্রহর ব্যাপি হরিনাম মহাযঙ্ঘ মহোৎসব

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ নরসিংদী জেলা

নরসিংদীর রায়পুরায় সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষ ড. নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়ার পদত্যাদের দাবি উঠেছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) টানা তৃতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থী ওমর খন্দকার সরকার বলেন, প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণের সময় বাদ পরার ভয় দেখিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের থেকে ৫৫ হাজার টাকা করে মোট ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়া। কলেজের নামে ব্যাংকে হিসাব নম্বর থাকার সত্তে¡ও তিনি ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে টাকা জমা করতেন। সেখান থেকে নামে-বেনামে খরচ করতেন টাকা। প্রতিষ্ঠানের জন্য কেনা একটি এসি নিজের নরসিংদীর বাসায় লাগান তিনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে বাগানের জন্য পাওয়া পুরো তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষা উপকরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বাড়তি টাকা আদায় করতেন। বাসার ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, দামি স্মাট ফোন ও ল্যাপটপ কিনতেন প্রতিষ্ঠানের টাকায়।

বক্তারা আরো বলেন, বিগত দিনে অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেনের স্বেচ্ছচারিতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন শিক্ষকরা। কৌশলে শিক্ষকদের বেতন আটকে দিতেন তিনি।

অধ্যক্ষের পদত্যাগসহ বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাশে ফিরে যাবেন না বলে জানান সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সেই অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়াকে সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে গিয়ে যাওয়া যায়নি। আ. লীগ সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তারপর থেকে অনুপস্থিত তিনি। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোন একাধিক বার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সর্মথন জানিয়েছেন সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সকল শিক্ষাক ও কর্মচারীরা। সহকারি প্রধান শিক্ষক মাহতাব উদ্দিন বলেন, অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন দুর্নীতি করেছে। আমরা তার পদত্যাগ চাই।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস

আপডেট সময় : ০৪:৩২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ নরসিংদী জেলা

নরসিংদীর রায়পুরায় সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষ ড. নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়ার পদত্যাদের দাবি উঠেছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) টানা তৃতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থী ওমর খন্দকার সরকার বলেন, প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণের সময় বাদ পরার ভয় দেখিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের থেকে ৫৫ হাজার টাকা করে মোট ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়া। কলেজের নামে ব্যাংকে হিসাব নম্বর থাকার সত্তে¡ও তিনি ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে টাকা জমা করতেন। সেখান থেকে নামে-বেনামে খরচ করতেন টাকা। প্রতিষ্ঠানের জন্য কেনা একটি এসি নিজের নরসিংদীর বাসায় লাগান তিনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে বাগানের জন্য পাওয়া পুরো তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষা উপকরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বাড়তি টাকা আদায় করতেন। বাসার ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, দামি স্মাট ফোন ও ল্যাপটপ কিনতেন প্রতিষ্ঠানের টাকায়।

বক্তারা আরো বলেন, বিগত দিনে অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেনের স্বেচ্ছচারিতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন শিক্ষকরা। কৌশলে শিক্ষকদের বেতন আটকে দিতেন তিনি।

অধ্যক্ষের পদত্যাগসহ বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাশে ফিরে যাবেন না বলে জানান সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সেই অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়াকে সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে গিয়ে যাওয়া যায়নি। আ. লীগ সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তারপর থেকে অনুপস্থিত তিনি। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোন একাধিক বার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সর্মথন জানিয়েছেন সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সকল শিক্ষাক ও কর্মচারীরা। সহকারি প্রধান শিক্ষক মাহতাব উদ্দিন বলেন, অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন দুর্নীতি করেছে। আমরা তার পদত্যাগ চাই।