অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদের অনিয়ম, দুর্নীতি দফায় দফায় তদন্ত
- আপডেট সময় : ১০:৫৮:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ এর বিরুদ্ধে আনিত বহু অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগে আবারও তদন্ত। বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্য,
মাদ্রাসার জমি বিক্রি, জমি লিজ, দোকান ভাড়া, গাছ কর্তন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, পানির মোটর, পানির ট্যাংক সহ মাদ্রাসার সকল কিছুই যেনো থাকে তার বাড়িতে। নিজের মনে করে মাদ্রাসার সকল কিছু ভোগ করলেও অত্র প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন
করেননি বিন্দু মাত্র। ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফি বাবদ টাকা নিয়েছে কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই। তার একক আধিপত্যে প্রতিষ্ঠানটি ধুকেধুকে যাচ্ছে রসাতলে। তার অদৃশ্য শক্তি আর সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে রেহাই
পায়নি ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক কর্মচারী সহ চাকরি প্রত্যাশীরাও। বেশ কিছু দিন যাবৎ অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ এর পদত্যাগের দাবীতে দফায় দফায় আন্দোলন করে আসছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের আন্দোলনের ডাকে সারা দিয়ে
ঐক্যমত পোষণ করে আন্দোলনে শরীক হন শিক্ষক কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেওয়া হয়েছে লিখিত অভিযোগ। এর ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আলমগীর আজাদ কে আহবায়ক
করে ৫সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। ১। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আলমগীর আজাদ আহবায়ক, ২। উপজেলা একাডেমি শিক্ষা সুপারভাইজার সজল চন্দ্র ভাদ্র
সদস্যসচিব, ৩। মো: আব্দুর রহিম, ইনচার্জ, সানন্দবাড়ী পিআইসি, সদস্য। ৪। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা, সদস্য। ৫। চরআমখাওয়া ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা, সদস্য। মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়
পক্ষের কাছে জানতে চাইলে সন্তুষ্টিজনক কোন উত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত অধ্যক্ষ। দেখাতে পারেননি কোন আয়ব্যয়ের হিসাব এবং কোন বৈধ নথিপত্র পেশ করতে পারেননি। তদন্ত কমিটি আগামীকাল বুধবার দুপুরের মধ্যে আয়ব্যয় হিসাব
সহ যাবতীয় বৈধ নথিপত্র তদন্ত কমিটির কাছে জমা দিতে বলা হয়। বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, মাদ্রাসার জমি বিক্রি, জমি লিজ, দোকান ভাড়া সহ সকল ধরনের টাকা লুট পাট খেয়েছেন মর্মে স্বাক্ষ্য দেন শিক্ষক, কর্মচারী, ম্যানেজিং
কমিটির সদস্য বৃন্দ সহ শত শত লোকজন। তবে, সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ। তাকে বেশ কিছু দিন সময় দিলে মিলিয়ে দিতে পারবেন বলে জানান। মাদ্রাসা ফান্ডে কত টাকা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
কোন প্রকার টাকা নাই। আব্দুল মজিদ নামে একজন অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন, শত শত মানুষ যা বলছেন সব মিথ্যা আর তিনি একাই যা বলছে সব সত্য। এযেনো বেহেশতে থেকে পালিয়ে আসা একজন সত্যবাদী মানুষ।
অন্য একজন বলেন- তাকে কিছু দিন সময় দিলে মনে হয় কোন অদৃশ্য জ্বীনের সাহায্যে সকল হিসাব মিলিয়ে দেবেন। এর আগে ১লা সেপ্টেম্বর তদন্তে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স, উপজেলা সেনাকর্মকর্তা বৃন্দ।
সেদিন অনুপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ। তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সজল চন্দ্র ভাদ্র বলেন- অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ রয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্তে এসেছি,
সকল কিছু যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের মধ্যে সঠিক রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হবে।