কমলপুর হাজী জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
ভৈরব শহরের হাজী জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল, সমাবেশ করেছেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।প্রধান শিক্ষকের
স্বেচ্ছাচারিতা,দুর্নীতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডুবতে বসেছে।দুর্নীতিতে জড়িত ছিল ১২ বছর যাবত দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার। স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের দাবি গত ১২ বছরে প্রধান
শিক্ষক কয়েক কোটি টাকা দূর্নীতি করে আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন এর নিকট অভিযোগ করেন।জানা যায়,প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমান ১২ বছর
ধরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে জসিম উদ্দিন নামের প্রধান শিক্ষক কে তিনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে স্কুল থেকে বিতাড়িত করেছেন। স্কুলে বিশেষ ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নিয়ে লাখ টাকা
আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থির জরিমানা আদায়,এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে ছাত্র-ছাত্রী কাছ থেকে ৫/১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়,তামান্না বেগম নামের এক শিক্ষিকা বিদেশে চলে গেলে তার বেতন অবৈধভাবে সাত মাস ধরে
উত্তোলন, স্কুলের ক্যান্টিনের নামে অযথা ব্যয় দেখানো,বাসার কাজের মেয়ের টাকা স্কুল থেকে বেতন উত্তোলন,পত্রিকায় স্কুলের নিউজ প্রকাশের নামে মিথ্যা টাকা পরিশোধ, নিরাপদ সড়ক চাই প্রতিষ্ঠানকে বিনা কারণে টাকা দেওয়া, ভূয়া খরচ
দেখিয়ে লাখ লাখ টাকার ভাউচার বানিয়ে টাকা উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমান। এনায়েত উল্লাহ নামের এক শিক্ষকে ৬ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার
অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এই সব অনিয়ম,দুর্নীতি প্রশ্রয় দিয়েছেন স্কুলে পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার। এই লোকমান হোসেন সরকার স্হানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাকে ম্যানেজ
করে একাদিক বার সভাপতি হয়েছেন।অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষকের আত্মসাৎ করা লাখ লাখ টাকার লোকমান হোসেন সরকার ও ভাগ পেতেন।এখানে উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক স্কুলের বিএনসিসির লেফটেন্যান্ট দাবি করে সামরিক পোশাক পড়ে
অনেককে ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাড়িতে তার নিকটাত্মীয়কে বিয়ে দিয়েছেন বলে অভিভাবকদের ভয় দেখাতেন।
স্কুলের বর্তমান সভাপতি ও ইউএনও শাকিলা বিনতে মতিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার পর প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।