ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করিমগঞ্জে ভুয়া কাগজপত্রে তৈরী করে সাংবাদিকের জমি দখলে নিতে ভূমিদস্যুদের মহড়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে একটি সাংবাদিক পরিবারের জমি দখলে নিতে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে একদল সন্ত্রসি ও ভূমিদস্যুরা। এ ঘটনায় উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের কদিম মাইজ হাটি

গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগীরা হলেন একই পরিবারের সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, মা হালিমা আক্তার, ভাই আজিজুল ইসলামসহ আরও

পাচঁ বোন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০০৪ সনে হালিমা আক্তারের স্বামী মো. আবুল হাসেম মারা যাবার পর পরিবারের মা হালিমা আক্তারসহ তার তিন পুত্র ও ছয় মেয়ের মধ্যে বসতভিটা ছাড়া তাদের

সম্পত্তি গত ২০১২ সনে করিমগঞ্জ রেজিট্রি অফিসের মাধ্যমে ৭২ নং দলীল মূলে সোলেনামা বন্টন করে রেজেট্রিকৃত দলিল অনুযায়ী ভোগদখল করে আসছেন। পরবর্তীতে তাদের যার যার সম্পত্তি নিজ নিজ নামে

জমা-খারিজও (নামজারি) করে নেন তারা।

তার মধ্যে পরিবারে এক সদস্য জহিরুল ইসলাম জুয়েল গত ৫ বছর পুর্বে পরিবার থেকে বিভিন্ন কারনে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তাকে পুঁজি করে এলাকার গিয়াস উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে১০/১২ জনের

একদল সন্ত্রাসি ও ভূমিদস্যু, জহিরুলকে নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে সাংবাদিকসহ হালিমা আক্তারে পরিবারের অন্য সদস্যদের জমি বেদখল করতে এলাকায় নিয়মিত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া ও হত্যার

হুমকি দিচ্ছে। তার ওই জমি দখল করতে পায়তারা করছে।

কদিমাইজ হাটি গ্রামের আনার মিয়া, জুয়েল মিয়া ও লতিব মিয়া বলেন, বসতবাড়ি ছাড়া তাদের পরিবারে সকল সম্পত্তি রেজিট্রিকৃত সোলেনামা দলীলমূলে বন্টন হয়ে অনেকদিন ধরে যার যার ভুগদখলে আছেন।

কিন্ত এলাকার কিছু ভুমিদস্যুরা এ পরিবারের এক ভাই জহিরুল ইসলামকে পুঁজি করে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে তাদেরকে এমন হুমকি ও হয়রানি করছে।

ভুক্তভোগী মদিনা আক্তার ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানান, এসব আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যা সকলের মাঝে ৭২ নং রেজিট্রিকৃত সোলেনামা দলিল মূলে বন্টন আছে ও যার যার

নামে নামজারিও রয়েছে। ভূমিদস্যুরা এমন করছেন এ ব্যাপারে আমরা করিমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছি।

করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তবে থানায় পুলিশ সদস্য কম থাকায় মাঠে যাওয়া হয়নি। এ নিয়ে যদি কোনোরকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, অভিযোগের ভিত্তিতে

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করিমগঞ্জে ভুয়া কাগজপত্রে তৈরী করে সাংবাদিকের জমি দখলে নিতে ভূমিদস্যুদের মহড়া

আপডেট সময় : ০৮:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে একটি সাংবাদিক পরিবারের জমি দখলে নিতে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে একদল সন্ত্রসি ও ভূমিদস্যুরা। এ ঘটনায় উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের কদিম মাইজ হাটি

গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগীরা হলেন একই পরিবারের সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, মা হালিমা আক্তার, ভাই আজিজুল ইসলামসহ আরও

পাচঁ বোন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০০৪ সনে হালিমা আক্তারের স্বামী মো. আবুল হাসেম মারা যাবার পর পরিবারের মা হালিমা আক্তারসহ তার তিন পুত্র ও ছয় মেয়ের মধ্যে বসতভিটা ছাড়া তাদের

সম্পত্তি গত ২০১২ সনে করিমগঞ্জ রেজিট্রি অফিসের মাধ্যমে ৭২ নং দলীল মূলে সোলেনামা বন্টন করে রেজেট্রিকৃত দলিল অনুযায়ী ভোগদখল করে আসছেন। পরবর্তীতে তাদের যার যার সম্পত্তি নিজ নিজ নামে

জমা-খারিজও (নামজারি) করে নেন তারা।

তার মধ্যে পরিবারে এক সদস্য জহিরুল ইসলাম জুয়েল গত ৫ বছর পুর্বে পরিবার থেকে বিভিন্ন কারনে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তাকে পুঁজি করে এলাকার গিয়াস উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে১০/১২ জনের

একদল সন্ত্রাসি ও ভূমিদস্যু, জহিরুলকে নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে সাংবাদিকসহ হালিমা আক্তারে পরিবারের অন্য সদস্যদের জমি বেদখল করতে এলাকায় নিয়মিত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া ও হত্যার

হুমকি দিচ্ছে। তার ওই জমি দখল করতে পায়তারা করছে।

কদিমাইজ হাটি গ্রামের আনার মিয়া, জুয়েল মিয়া ও লতিব মিয়া বলেন, বসতবাড়ি ছাড়া তাদের পরিবারে সকল সম্পত্তি রেজিট্রিকৃত সোলেনামা দলীলমূলে বন্টন হয়ে অনেকদিন ধরে যার যার ভুগদখলে আছেন।

কিন্ত এলাকার কিছু ভুমিদস্যুরা এ পরিবারের এক ভাই জহিরুল ইসলামকে পুঁজি করে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে তাদেরকে এমন হুমকি ও হয়রানি করছে।

ভুক্তভোগী মদিনা আক্তার ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানান, এসব আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যা সকলের মাঝে ৭২ নং রেজিট্রিকৃত সোলেনামা দলিল মূলে বন্টন আছে ও যার যার

নামে নামজারিও রয়েছে। ভূমিদস্যুরা এমন করছেন এ ব্যাপারে আমরা করিমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছি।

করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তবে থানায় পুলিশ সদস্য কম থাকায় মাঠে যাওয়া হয়নি। এ নিয়ে যদি কোনোরকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, অভিযোগের ভিত্তিতে

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।