ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা বাতিলের দাবীতে ক্লাস বর্জন করেছে জাবির শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ৩০ জুন থেকে কর্মবিরতিতে আছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েরসহ দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। তাদের কর্মবিরতির কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল। এরইমধ্যে কোটা সংস্কারের দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সোশাল মিডিয়াতে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বেশ কয়েকটি বিভাগ। এখন পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করা বিভাগগুলোর মধ্যে আছে দর্শন (৫১), বাংলা (৫১), নৃ-বিজ্ঞান (৫১), সরকার ও রাজনীতি (৫১), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (৪৯) সহ বেশ কয়েকটি বিভাগ।

 

ক্লাস বর্জন করার বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর মিয়া বলেন, আমরা মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। সব শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক। মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে এক শ্রেণির মানুষ লাভবান হবে সেটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে।প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা ক্লাস, পরিক্ষা বর্জন করছি।

 

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন বলেন, বর্তমানে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ও শর্ত সাপেক্ষে ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা অর্থাৎ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা। বাকি থাকে ৪৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছে চাকরি পাওয়াটা অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন সাধারণ মানুষদের বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাহলে এখন এই বৈষম্য কেন? তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাই কোটা বাতিল হোক,মেধাবীদের সাথে মেধাবীদের লড়াই হোক। আর সেই জন্যই “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” পরবর্তী কর্মসূচী(ছাত্র ধর্মঘট) এর সাথে একাত্মতা পোষণ করে “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৫১ তম আবর্তনের সকল প্রকার ক্লাস, পরীক্ষা ও সকল শিক্ষা কার্যক্রম বর্জন ঘোষণা করেছি।

উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইনে গণসংযোগ, শনিবার বেলা ৩টায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ এবং রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোটা বাতিলের দাবীতে ক্লাস বর্জন করেছে জাবির শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ৩০ জুন থেকে কর্মবিরতিতে আছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েরসহ দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। তাদের কর্মবিরতির কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল। এরইমধ্যে কোটা সংস্কারের দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সোশাল মিডিয়াতে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বেশ কয়েকটি বিভাগ। এখন পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করা বিভাগগুলোর মধ্যে আছে দর্শন (৫১), বাংলা (৫১), নৃ-বিজ্ঞান (৫১), সরকার ও রাজনীতি (৫১), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (৪৯) সহ বেশ কয়েকটি বিভাগ।

 

ক্লাস বর্জন করার বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর মিয়া বলেন, আমরা মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। সব শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক। মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে এক শ্রেণির মানুষ লাভবান হবে সেটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে।প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা ক্লাস, পরিক্ষা বর্জন করছি।

 

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন বলেন, বর্তমানে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ও শর্ত সাপেক্ষে ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা অর্থাৎ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা। বাকি থাকে ৪৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছে চাকরি পাওয়াটা অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন সাধারণ মানুষদের বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাহলে এখন এই বৈষম্য কেন? তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাই কোটা বাতিল হোক,মেধাবীদের সাথে মেধাবীদের লড়াই হোক। আর সেই জন্যই “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” পরবর্তী কর্মসূচী(ছাত্র ধর্মঘট) এর সাথে একাত্মতা পোষণ করে “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৫১ তম আবর্তনের সকল প্রকার ক্লাস, পরীক্ষা ও সকল শিক্ষা কার্যক্রম বর্জন ঘোষণা করেছি।

উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইনে গণসংযোগ, শনিবার বেলা ৩টায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ এবং রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন।