চাঁচকৈড় হাটে কাঁচা বাজারে যেন আগুন
- আপডেট সময় : ০২:৪০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
মানুষের নিত্য পন্য কাঁচা বাজারে যেন আগুন লেগেছে। কাঁচা বাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতা দের সাথে কথা বলে এমন টাই জানা জায়।গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরে চাঁচকৈড় হাটে গত ১৫ থেকে ১ মাসের মধ্যে কাঁচা মরিচ,পেয়াজ,রসুন,বেগুন, আলু, করলাসহ নিত্য পন্যর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
পন্য ভেদে কাঁচা মরিচ ২৭০ থেকে ২০০টাকা কেজি, পিয়াজ ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি,দেশি আলু ৬০ টাকা কেজি, হলেন্ডার আলু ৫৫ টাকা কেজি, আদা ২৮০ টাকা কেজি,রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, বেগুন ৭০ টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি,কুড়ি কচু ৭০ টাকা কেজি।
বাজারে পন্যর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। চাঁচকৈড় হাট ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানাযায় আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশি।কাঁচা বাজারে আসলে জতো কিছু কিনতে হবে দামের কারনে অর্ধেক কিনতে হয়।সব পন্যর দাম বেশি। মানুষের কয় ক্ষমতা সামান্য বাড়লেও কাঁচাপন্যর দাম বেড়েছে তার দ্বিগুণ। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ কাঁচা বাজারে আসলেই যেন মাথায় হাত পড়ে কারণ পন্যর মূল্য দ্বিগুন হারে বেড়েছে। কাঁচা পণ্যর দাম মানুষের কয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
চাঁচকৈড় হাটের ক্রেতা মিজানুর রহমান ও হাসান আলী বলেন, কাঁচা পন্যর দাম হঠাৎ করে ডাবল হয়ে গেছে যা আমার মত সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।গত এক সপ্তাহে দাম দ্বিগুন হয়েছে। আমার ৬ জনের সংসার যে আয় করি তাতে করে সংসার চালানো কঠিন। তার উপর কাঁচা বাজারে পন্যর দাম বেশি হওয়ায় সব কিনতে পারলাম না অর্ধেক করে কিনলাম। সব জিনিসের দাম বেশি। এভাবে চল্লে সংসার নিয়ে পথে নামতে হবে। কাঁচা বাজারের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমরা কিভাবে বেঁচে থাকব। সরকারের দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে মনিটরিং করা দরকার বলে মনে করি।
চাকরি জীবি ক্রেতা সোহাগ সরকার বলেন,আমি একটি বেসরকারী কোম্পানিতে চাকরি করি যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়।কাঁচা বাজারে এসে মাথায় হাত সব জিনিসের দাম ডাবল হয়েছে। কাঁচাপন্যর মূল্য এত বৃদ্ধি পেলে আমরা কিনবো কি আর খাবোই বা কি?আমার মনে হয় সিন্ডিকেট করে কাঁচা পন্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। গত শনিবারের চেয়ে আজ সব পন্যর দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। এভাবে চললে সংসার নিয়ে বিপদে পড়তে হবে। আয়ের সাথে ব্যায়ের হিসাব মিটিয়ে আমাদের চলতে হয়। বাজারে আসলে মনে হয় না আমাদের দেশের সরকার আছে এভাবে কি চলা যায়? আমাদের কথা ভাবার যেন কেউ নেই। আমাদের কথা আপারা তুলে ধরুন।নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কেউ ভালো নেই।
আনান্দ নগর মহল্লার কৃষত দেলবর হোসেন বলেন, গত খরার কারনে কাঁচা পন্যর গাছ সুখিয়ে জায় পন্য কম হয়।এখন বৃষ্টির কারনে গাছ মরে জাচ্ছে তাই পন্য কম আমদানি হচ্ছে। তাই এখন কাঁচা পন্যর দাম একটু বেশি। বর্ষা শেষ হলে আবার পন্যর দাম স্বাভাবিক হবে বলে তিনি মনে করেন।বর্ষার শেষে যে গাছ লাগাব তারপরে ফল হলে দাম স্বাভাবিক নেমে আসবে। এখন বাজার উঠানামা করবে এটাই স্বাভাবিক। এক দুই মাস কাঁচা পণ্যর দাম বৃদ্ধি পাবে দাম কমবে না তিনি বলেন।
কাঁচাপন্য বিক্রেতা দুলু ও টুটুল প্ররামানিক বলেন,এখন বর্ষাকাল কাঁচা মাল আমদানি কম তাই দাম একটু বেশি। কাঁচা পন্য আমদানি বেশি হলে দাম কমবে। এখানে সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করা হয় না। আমরা কুষকের কাছ থেকে সরাসরি মাল কিনে বিক্রয় করি। সিন্ডিকেটের কোন প্রশ্নই আসে না। এখন মালের আমদানি কম কারন গত খরার কারনে গাছ সুখিয়ে গেছে তখন থেকে মাল আমদানি কম হচ্ছে আর এখন বর্ষার কারনে গাছ নষ্ট হচ্ছে মারা জাচ্ছে তাই কাঁচা মাল আমদানি কম। এ জন্য বাজারে কাঁচা পন্যর দাম একটু বেশি। আমরা আশা করছি বর্ষার পর দাম কম হবে। আশা করি খুব দ্রুত মানুষের কয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে।