ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা বর্ষণে ফুলপুরে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফুলপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি:গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। পাকা সড়কসহ বহু কাঁচা সড়ক তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষ করে গবাদি পশু মহাবিপাকে।গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও জলাবদ্ধতায় আটকে রয়েছেন বহু মানুষ।

ফুলপুর সরকারি কলেজ, আমুয়াকান্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, খাদ্য গুদাম, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাজারো মানুষের থাকার ঘর প্লাবিত হয়েছে। শাক সবজি ও নানা জাতের ফসলাদি তলিয়ে গেছে। নিজেদের খাবার কষ্টের চেয়ে কৃষকরা গবাদি পশুর থাকা খাওয়া নিয়ে বেশি চিন্তিত।

বালিয়া ও সিংহেশ্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে ও বিভিন্নজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অপরিকল্পিত ফিশারিজ, নতুন নতুন বাড়ি ঘর ও নানা স্থাপনা গড়ে উঠায় এবং কিছু কিছু জায়গায় পারিবারিক বা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব কলহের জেরে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে রাখায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় সব জায়গাতেই পানি জমে। পরে নেমে যাওয়ার পথ না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আশীষ কর্মকার বলেন, বৃহস্পতিবার আমি সিংহেশ্বর মাঠখলা মাদরাসা এলাকা পরিদর্শন করেছি।ওখানে ৮-১০টি পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছিলেন। পারিবারিক রেষারেষিতে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে রাখায় ওই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে আলোচনা করে উহা নিরসন করা হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক, জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান, ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ও সিংহেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলীসহ অনেকেই শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকালে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, আমি এখনো স্পটে আছি।

যতটুকু দেখেছি অনেক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে হয়তো এ পরিস্থিতি হতো না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টানা বর্ষণে ফুলপুরে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

ফুলপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি:গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। পাকা সড়কসহ বহু কাঁচা সড়ক তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষ করে গবাদি পশু মহাবিপাকে।গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও জলাবদ্ধতায় আটকে রয়েছেন বহু মানুষ।

ফুলপুর সরকারি কলেজ, আমুয়াকান্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, খাদ্য গুদাম, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাজারো মানুষের থাকার ঘর প্লাবিত হয়েছে। শাক সবজি ও নানা জাতের ফসলাদি তলিয়ে গেছে। নিজেদের খাবার কষ্টের চেয়ে কৃষকরা গবাদি পশুর থাকা খাওয়া নিয়ে বেশি চিন্তিত।

বালিয়া ও সিংহেশ্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে ও বিভিন্নজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অপরিকল্পিত ফিশারিজ, নতুন নতুন বাড়ি ঘর ও নানা স্থাপনা গড়ে উঠায় এবং কিছু কিছু জায়গায় পারিবারিক বা গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব কলহের জেরে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে রাখায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় সব জায়গাতেই পানি জমে। পরে নেমে যাওয়ার পথ না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আশীষ কর্মকার বলেন, বৃহস্পতিবার আমি সিংহেশ্বর মাঠখলা মাদরাসা এলাকা পরিদর্শন করেছি।ওখানে ৮-১০টি পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছিলেন। পারিবারিক রেষারেষিতে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে রাখায় ওই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে আলোচনা করে উহা নিরসন করা হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক, জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান, ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ও সিংহেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলীসহ অনেকেই শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকালে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, আমি এখনো স্পটে আছি।

যতটুকু দেখেছি অনেক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে হয়তো এ পরিস্থিতি হতো না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।