ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাজশাহীতে স্বস্তিতে সমাবেশ করলো বিএনপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়ে সমাবেশ করা হয় । এতে রাজশাহী মহানগর ও আশপাশের সকল

জেলা ও মহানগর থেকে নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রায় যোগ দেন । সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ২টা থেকেই স্লোগান দিতে দিতে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে নগরীর আলুপট্টিতে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির হাজার – হাজার নেতা-কর্মীরা।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশে রাজশাহী সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন অঙ্গ ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক

প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানের নামে স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের। স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সমালোচনা করে স্লোগানের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী মহানগরী।

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য শামসুজ্জামান দুধু । রাজশাহী বিভাগীয় শোভাযাত্রা সভাপতিত্ব করেন মহানগর

বিএনপির আহবায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ শৃঙ্খলা কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি

আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর

রহমান সৌরভ সহ আরো হাজার- হাজার নেতৃবৃন্দ।

রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে , স্বাধীনভাবে কোন সমাবেশ করতে পারি নাই। রাজশাহী বিভাগের অন্য জেলা থেকে নেতাকর্মীদের রাজশাহীতে আসতে একের পর

এক বাধার শিকার হয়েছেন তারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতার রক্তের মধ্যে দিয়ে আমরা এই দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। আমরা চাই রাজশাহী সহ সারাদেশে প্রতিটা দপ্তর থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা গুলোকে সরিয়ে

সৎ ,যোগ্য মানুষকে বসানো হয়। আমাদের হাজার হাজার কর্মী যারা ভোটার হয়ে এখন পর্যন্ত ভোটের মুখ দেখতে পারে নাই। অভ্যন্তরীণ সরকার যেন খুব দ্রুত রাষ্ট্রকে সংস্কার করে জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়।

রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতার রক্তের বিনিময়ে পাওয়াই বাংলাদেশকে আমরা আর কোন স্বৈরাচারীর হাতে তুলে দিতে রাজি না। দীর্ঘ ১৭ বছর মামলা ,হামলা

,গুম করে রেখেছিল আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের । বিচারের নামে নির্দোষদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না সেটা ৫ আগস্ট খুনি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়াতেই প্রমাণ মিলেছে। অভ্যন্তরীণ

সরকারকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের হেল্প করা হবে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্বল হয়ে আছে সেটা যেন খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। নতুনভাবে নিয়োগ দিয়ে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিগুলোকে পুলিশে নেওয়া জরুরী।

আমি আমাদের বিএনপি’র সব অঙ্গসংগঠনের নেতাগুলিকে বলতে চাই তারা যেন দখল ও চাঁদাবাজি সহ যেকোনো অপকর্ম থেকে দূরে থাকে। আইন মেনে আইন-শৃঙ্খলার মাধ্যমে যেন তারা সবসময়ই চলে এটাই আমার নেতাকর্মীদের কাছে

চাওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাজশাহীতে স্বস্তিতে সমাবেশ করলো বিএনপি

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় রাজশাহীর আলুপট্টি মোড়ে সমাবেশ করা হয় । এতে রাজশাহী মহানগর ও আশপাশের সকল

জেলা ও মহানগর থেকে নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রায় যোগ দেন । সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ২টা থেকেই স্লোগান দিতে দিতে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে নগরীর আলুপট্টিতে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির হাজার – হাজার নেতা-কর্মীরা।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশে রাজশাহী সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন অঙ্গ ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক

প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানের নামে স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের। স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সমালোচনা করে স্লোগানের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী মহানগরী।

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য শামসুজ্জামান দুধু । রাজশাহী বিভাগীয় শোভাযাত্রা সভাপতিত্ব করেন মহানগর

বিএনপির আহবায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ শৃঙ্খলা কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি

আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর

রহমান সৌরভ সহ আরো হাজার- হাজার নেতৃবৃন্দ।

রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে , স্বাধীনভাবে কোন সমাবেশ করতে পারি নাই। রাজশাহী বিভাগের অন্য জেলা থেকে নেতাকর্মীদের রাজশাহীতে আসতে একের পর

এক বাধার শিকার হয়েছেন তারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতার রক্তের মধ্যে দিয়ে আমরা এই দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। আমরা চাই রাজশাহী সহ সারাদেশে প্রতিটা দপ্তর থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা গুলোকে সরিয়ে

সৎ ,যোগ্য মানুষকে বসানো হয়। আমাদের হাজার হাজার কর্মী যারা ভোটার হয়ে এখন পর্যন্ত ভোটের মুখ দেখতে পারে নাই। অভ্যন্তরীণ সরকার যেন খুব দ্রুত রাষ্ট্রকে সংস্কার করে জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়।

রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতার রক্তের বিনিময়ে পাওয়াই বাংলাদেশকে আমরা আর কোন স্বৈরাচারীর হাতে তুলে দিতে রাজি না। দীর্ঘ ১৭ বছর মামলা ,হামলা

,গুম করে রেখেছিল আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের । বিচারের নামে নির্দোষদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না সেটা ৫ আগস্ট খুনি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়াতেই প্রমাণ মিলেছে। অভ্যন্তরীণ

সরকারকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের হেল্প করা হবে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুর্বল হয়ে আছে সেটা যেন খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। নতুনভাবে নিয়োগ দিয়ে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিগুলোকে পুলিশে নেওয়া জরুরী।

আমি আমাদের বিএনপি’র সব অঙ্গসংগঠনের নেতাগুলিকে বলতে চাই তারা যেন দখল ও চাঁদাবাজি সহ যেকোনো অপকর্ম থেকে দূরে থাকে। আইন মেনে আইন-শৃঙ্খলার মাধ্যমে যেন তারা সবসময়ই চলে এটাই আমার নেতাকর্মীদের কাছে

চাওয়া।