ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান নুরে আলমের বিরুদ্ধে ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের মামলা করায় মামলার বাদী আ:রহিমকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার দুপুরে নবীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ওই ইউনিয়নের চরলাপাং গ্রামের আবদুর রহিম মিয়া বলেন, গত ইউপির নির্বাচনে চেয়ারম্যান নূরে আলম এলাকার কয়েকজন মুরুব্বির উপস্থিততে আমার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাওলাদ নেন। নির্বাচনের পর এক বছরে ৩ লক্ষ টাকা দিলেও বাকি ৭ লক্ষ টাকা দেম দিচ্ছি বলে গুড়াইতে থাকেন।পরে টাকা দিতে অস্বীকার করলে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে গত ২ জুলাই মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারনার মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন ২০২১ইং সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, পশ্চিম ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ নূরে আলম তার নির্বাচনী ব্যায়ের জন্য আমার কাছ থেকে এক সপ্তাহের কথা বলে দশ লাখ টাকা ধার নেয়। মামলা করার পর ওই চেয়ারম্যান আমাকে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে ভয় ভীতি, টাকা না দেওয়ার হুমকি ও বিভিন্নভাবে আমাকে ফাঁসিয়ে বিপদে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় আছি। টাকা ফেরত পাওয়া সহ চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করছি। পরে বাদী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এঘটনায় ওই এলাকার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আরিফুর রহমান সেন্টু মেম্বার (৪নং ওয়ার্ড), শেখ জামাল জয়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, হাজী আবদুর রহিম নূরে আলম চেয়ারম্যানকে আরো কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষী রেখেই টাকা ধার দেয়। আবদুর রহিম মিয়াকে নিরীহ পেয়ে এখন টাকা দিতে অস্বীকার করছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্টু বিচারের দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে জানতে, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলমকে মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম। নির্বাহী সম্পাদক:মো: নাইমুল ইসলাম, বিজ্ঞাপন এবং নিউজ: [email protected] . www.dailysarabela.com । ঢাকা অফিস: বিসিআইসি ভবন ১১ তলা ৩০-৩১ দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকা ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত। কিশোরগঞ্জ অফিস ৯৭, হয়বত নগর ,কিশোরগঞ্জ থেকে পরিচালিত।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত সারাবেলা ২০২৪