ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নান্দাইলে সাত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার।। মনোহরদীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান নরসিংদীতে ব্র্যাকের “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত সততা চর্চার অভ্যাস গড়তে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ফুলপুর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নয়া কমিটি গঠন সভাপতি মাওঃ আবু রায়হান, সম্পাদক মাওঃ আওলাদ রাজশাহীতে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতাদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনে দর্শনার্থীদের সুবিদায় নদী খনন রায়পুরায় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মনবাড়িয়া অনার্সের কেন্দ্র স্থানান্তরের দাবীতে মানব বন্ধন মনোহরদী টু কটিয়াদী সংযোগ রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাতায়াতকারীরা।

নরসিংদির মনোহরদীতে অযত্নে অবহেলায় পরে আছে পোস্ট অফিস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহমুদুল হাসান লিমন ( নরসিংদী )

নরসিংদী জেলা মনোহরদী উপজেলার নরেন্দ্র পুর গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে অযত্নে অবহেলায় পরে আছে পোস্ট অফিস। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই পোস্ট অফিস থেকে সেবা গ্রহণ করে লেবুতলা ইউনিয়ন ও খিদিরপুর ইউনিয়নের ৭ গ্রামের মানুষ। এলাকার একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের ও আগে প্রতিষ্ঠিত এই অফিস থেকে একসময় ঠিকঠাক সেবা পাওয়া গেলেও প্রয়াত পোস্ট মাষ্টার নুরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পরে ওনার ছেলে মোশাররফ হোসেন কিছু দিন বাজারে দোকানে বসে কিছু চিঠি বিলি করলেও, মোশাররফ হোসেন প্রবাসে চলে যাওয়ার পর ওনার স্ত্রী বাড়িতে বসে চিঠি বিলি ও গ্রহণ করে বিধায়। অনেক সময় ওনার বাড়ি না চিনার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

চর আহাম্মদ পুর গ্রামের সোহেল রানা বলেন আমার চাকুরির জরুরি চিঠি সঠিক সময়ে না পাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিতে পারি নাই। রায়ের পাড়া গ্রামের একজন ও এমন অভিযোগ করে বলেন। স্থায়ীভাবে যদি কোনো ঘর করে নিয়মিত অফিসে বসে তাহলে, দুই ইউনিয়নের ৭ টি গ্রামের মানুষের কষ্ট লাগব হবে। কিছু দিন আগে লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আকন্দকে অবহিত করলে ওনি নিজে সরজমিন এসে দেখে যান এবং বলেন নিচের চলে যাওয়া মাটি ওনি ভরাট করে দিবেন। কিন্তু অফিস ঘরের উনি কিছু করতে পারবেনা। এর কিছু দিন আগে মনোহরদী উপজেলার ভূমি কর্মকরতা গাজী দস্তগীর মারুফ স্যারকে দেখালে ওনি বলেছিলেন অফিস ঘরকে আর একটু সামনে সরকারি খাস জমিতে নিয়ে স্থায়ী ভাবে করে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবেন। ওনার সাথে উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করার জন্য। বর্তমান অফিসের দায়িত্ব পালন করা (মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী) রুমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে ওনি বলেন, মনোহরদী উপজেলার ভূমি কর্মকরতার অফিসে গিয়ে ওনাকে না পেয়ে চলে এসেছে। এলাকাবাসির দাবি যেই ভাবেই হোকনা কেন সরকারি অথবা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত এই অফিস থেকে সাধারণত মানুষ যেন পূর্ণ সেবা গ্রহণ করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নরসিংদির মনোহরদীতে অযত্নে অবহেলায় পরে আছে পোস্ট অফিস

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

মাহমুদুল হাসান লিমন ( নরসিংদী )

নরসিংদী জেলা মনোহরদী উপজেলার নরেন্দ্র পুর গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে অযত্নে অবহেলায় পরে আছে পোস্ট অফিস। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই পোস্ট অফিস থেকে সেবা গ্রহণ করে লেবুতলা ইউনিয়ন ও খিদিরপুর ইউনিয়নের ৭ গ্রামের মানুষ। এলাকার একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের ও আগে প্রতিষ্ঠিত এই অফিস থেকে একসময় ঠিকঠাক সেবা পাওয়া গেলেও প্রয়াত পোস্ট মাষ্টার নুরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পরে ওনার ছেলে মোশাররফ হোসেন কিছু দিন বাজারে দোকানে বসে কিছু চিঠি বিলি করলেও, মোশাররফ হোসেন প্রবাসে চলে যাওয়ার পর ওনার স্ত্রী বাড়িতে বসে চিঠি বিলি ও গ্রহণ করে বিধায়। অনেক সময় ওনার বাড়ি না চিনার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

চর আহাম্মদ পুর গ্রামের সোহেল রানা বলেন আমার চাকুরির জরুরি চিঠি সঠিক সময়ে না পাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিতে পারি নাই। রায়ের পাড়া গ্রামের একজন ও এমন অভিযোগ করে বলেন। স্থায়ীভাবে যদি কোনো ঘর করে নিয়মিত অফিসে বসে তাহলে, দুই ইউনিয়নের ৭ টি গ্রামের মানুষের কষ্ট লাগব হবে। কিছু দিন আগে লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আকন্দকে অবহিত করলে ওনি নিজে সরজমিন এসে দেখে যান এবং বলেন নিচের চলে যাওয়া মাটি ওনি ভরাট করে দিবেন। কিন্তু অফিস ঘরের উনি কিছু করতে পারবেনা। এর কিছু দিন আগে মনোহরদী উপজেলার ভূমি কর্মকরতা গাজী দস্তগীর মারুফ স্যারকে দেখালে ওনি বলেছিলেন অফিস ঘরকে আর একটু সামনে সরকারি খাস জমিতে নিয়ে স্থায়ী ভাবে করে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবেন। ওনার সাথে উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করার জন্য। বর্তমান অফিসের দায়িত্ব পালন করা (মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী) রুমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে ওনি বলেন, মনোহরদী উপজেলার ভূমি কর্মকরতার অফিসে গিয়ে ওনাকে না পেয়ে চলে এসেছে। এলাকাবাসির দাবি যেই ভাবেই হোকনা কেন সরকারি অথবা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত এই অফিস থেকে সাধারণত মানুষ যেন পূর্ণ সেবা গ্রহণ করতে পারে।