ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মা ও শিশু সহ নিহত-২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নরসিংদীতে ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মা ও শিশু নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক শিশু সন্তান। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরসিংদী রেলস্টেশনের রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মুন্সেফেরচর এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সাবিনা বেগম (২৮), ও তার কন্যা শিশু মাইমুনা (৩)  আহত অপর শিশু সিনহা (৪)কে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।  নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক মো: শহিদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নরসিংদী বাজারে কেনাকাটা শেষে ৩ ‍ও ৪ বছরের দুই কন্যা সন্তানসহ অপর এক শিশু ভাগ্নেকে নিয়ে নরসিংদী রেলস্টেশনে আসেন মা সাবিনা বেগম। শিশুদের ঘুরাঘুরি ও খেলা করার এক পর্যায়ে রেলস্টেশন প্লাটফর্ম ছেড়ে রেললাইনের পাশে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ছবি তুলছিলেন মা সাবিনা বেগম।

এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া চট্রগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের হর্ণের শব্দ শুনে দৌড় দেয় শিশু সন্তান সিনহা। তাকে বাঁচাতে কোলে থাকা শিশু সন্তান মাইমুনাকে নিয়ে এগিয়ে যান মা সাবিনা বেগম। সে সময় ট্রেনের সাথে ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মা সাবিনা বেগম ও কোলে থাকা শিশু সন্তান মাইমুনা। গুরুতর আহত হয় অপর সন্তান সিনহা।

স্থানীয়রা আহত শিশু সিনহাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়।

হতাহতদের সাথে আসা প্রত্যক্ষদর্শী ১২ বছর বয়সী তামিম জানায়, মামী সাবিনা বেগম ও দুই মামাতো বোনকে নিয়ে নরসিংদী বাজারে কেনাকাটা শেষে স্টেশনে আসেন তারা। এসময় স্টেশন হয়ে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাদের। এক পর্যায়ে রেললাইনে ছবি তুলতে গেলে অসাবধানতাবশত ট্রেনের ধাক্কায় মামী ও এক মামাতো বোন মারা যায়। আহত অপর মামাতো বোন লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক মো: শহিদুল্লাহ বলেন, অসচেতনতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নরসিংদীতে ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মা ও শিশু সহ নিহত-২

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

নরসিংদীতে ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মা ও শিশু নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক শিশু সন্তান। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরসিংদী রেলস্টেশনের রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মুন্সেফেরচর এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সাবিনা বেগম (২৮), ও তার কন্যা শিশু মাইমুনা (৩)  আহত অপর শিশু সিনহা (৪)কে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।  নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক মো: শহিদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নরসিংদী বাজারে কেনাকাটা শেষে ৩ ‍ও ৪ বছরের দুই কন্যা সন্তানসহ অপর এক শিশু ভাগ্নেকে নিয়ে নরসিংদী রেলস্টেশনে আসেন মা সাবিনা বেগম। শিশুদের ঘুরাঘুরি ও খেলা করার এক পর্যায়ে রেলস্টেশন প্লাটফর্ম ছেড়ে রেললাইনের পাশে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ছবি তুলছিলেন মা সাবিনা বেগম।

এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া চট্রগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের হর্ণের শব্দ শুনে দৌড় দেয় শিশু সন্তান সিনহা। তাকে বাঁচাতে কোলে থাকা শিশু সন্তান মাইমুনাকে নিয়ে এগিয়ে যান মা সাবিনা বেগম। সে সময় ট্রেনের সাথে ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মা সাবিনা বেগম ও কোলে থাকা শিশু সন্তান মাইমুনা। গুরুতর আহত হয় অপর সন্তান সিনহা।

স্থানীয়রা আহত শিশু সিনহাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়।

হতাহতদের সাথে আসা প্রত্যক্ষদর্শী ১২ বছর বয়সী তামিম জানায়, মামী সাবিনা বেগম ও দুই মামাতো বোনকে নিয়ে নরসিংদী বাজারে কেনাকাটা শেষে স্টেশনে আসেন তারা। এসময় স্টেশন হয়ে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাদের। এক পর্যায়ে রেললাইনে ছবি তুলতে গেলে অসাবধানতাবশত ট্রেনের ধাক্কায় মামী ও এক মামাতো বোন মারা যায়। আহত অপর মামাতো বোন লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক মো: শহিদুল্লাহ বলেন, অসচেতনতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে।