প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২১, ২০২৫, ৮:০৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৯, ২০২৫, ৮:২৯ এ.এম
প্রতিদিন ১ ঘন্টা কর্মবিরতির ঘোষনা সরকারি কর্মচারিদের

সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ ২০২৫ এর বিরুদ্ধে সচিবালয়ে / বিভিন্ন দপ্তরে বিক্ষোভ বা আন্দোলনের কারণে সাধারণ জণগণ যারা এর সমালোচনা করছেন তাদের অনুরোধ করছি পুরো অধ্যাদেশটা ভালো করে পড়ে অতঃপর বুঝে মন্তব্য করার এবং এর স্বপক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার।সরকারী কর্মচারী মানেই ঘুষখোর বা খারাপ মানুষ এই ধারণা হতে বেরিয়ে একটু নিরপেক্ষভাবে ভাবুন।
অধ্যাদেশটির মূল ভাবটা এই যে,চাকরিতে অনুপস্থিত থাকলে,অনানুগত্য প্রকাশ পেলে এবং অন্যকে অনুপস্থিত থাকার জন্য উৎসাহ দিলে তাকে ৭(সাত) কর্মদিবসের মধ্যে বরখাস্ত করা যাবে এবং এই সংক্রান্ত অন্য সকল আইনে যাই থাকুক না কেন এই আইনই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
চাকরিতে উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত প্রতিপন্ন করা কঠিন কিছু নয় কেননা সকল সরকারি অফিসে ডিজিটাল হাজিরা দেওয়ার সিস্টেম নেই।এতে অসৎ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা একটা সুযোগ পাবে তার সাথে মতবিরোধ আছে এমন কোনো কর্মচারীর ক্ষতি করার।
নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার আনুগত্য না করলে তিনি সেটাকে চাকরিতে অনানুগত্য হিসেবে দেখাবে।যারা জীবনে যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি অফিসে একবার হলেও চাকরি করেছেন তারা ভালো করেই জানেন আমাদের দেশে ক্ষমতা পেলে 'সাব-অর্ডিনেটদের' সাথে উর্দ্ধতনরা বাসার চাকরের চেয়ে খারাপ ব্যবহার করে কোনো কারণ ছাড়াই।এছাড়া ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার তার যেকোনো অনৈতিক কাজে কর্মচারীকে বাধ্য করবে উক্ত আইনের ভয় দেখিয়ে।এমনকি সরকারের উর্দ্ধতন আমলা-মন্ত্রী-ব্যবস্যায়ী জোট অর্থ আত্মসাৎ তথা দুর্নীতি করলেও কর্মচারী ভয়ে মুখ খুলতে পারবে না।
অন্যকে অনুপস্থিত থাকতে উৎসাহিত করার জন্য চাকরি হতে বরখাস্ত করা যাবে।এর অর্থ কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বা সাধারণ সকল চাকুরীজীবিদের স্বার্থ আদায়ের জন্য বা যেকোনো অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিতে গেলেই নেতৃস্থানীয়দের অন্যকে অনুপস্থিত থাকতে উৎসাহিত করার জন্য দায়ী করে বরখাস্ত করা হবে এবং ফলশ্রুতিতে যেকোনো অন্যায়-অবিচার ও যৌক্তিক দাবি-দাওয়ার স্বপক্ষে আওয়াজ বা প্রতিবাদ করার বিন্দুমাত্র সুযোগ থাকবে না।
সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে নারী কর্মচারীরা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কুপ্রস্তাব মেনে না নিলে তাকে উক্ত কর্মকর্তা উপরোক্ত যেকোনো আইনে ফেলে বরখাস্ত করবে যা নারীবান্ধব কর্মপরিবেশের স্পষ্ট অন্তরায়।
সাধারণ জণগণ যারা মনে করছেন এই আইনটি সরকারি সেবাখাতকে ত্বরান্বিত করতে এবং সরকারি কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে করা হয়েছে তারা ভুল ভাবছেন।এই আইনটি মূলত কিছু স্বার্থান্বেষী কূটবুদ্ধিসম্পন্ন আমলারা কৌশলে উপদেষ্টা পরিষদকে ম্যানিপুলেট করে তাদের দুর্নীতি করা,দাসত্বের রাজত্ব কায়েম করা তথা স্বেচ্ছাচারিতা করার কৌশল হিসেবে পাশ করিয়েছে।
এই আইন জাতীয় সংবিধানে উল্লিখিত সকল জণগণের সমতা বা সমাধিকারকে ক্ষুন্ন করে যা সমাজে বৈষম্য ব্যাপকহারে বাড়াবে।এলিট বা অভিজাতদের দাসে পরিণত হবে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সমাজ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম। নির্বাহী সম্পাদক:মো: নাইমুল ইসলাম, বিজ্ঞাপন এবং নিউজ: [email protected] . www.dailysarabela.com । ঢাকা অফিস: বিসিআইসি ভবন ১১ তলা ৩০-৩১ দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকা ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত। কিশোরগঞ্জ অফিস ৯৭, হয়বত নগর ,কিশোরগঞ্জ থেকে পরিচালিত।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত সারাবেলা ২০২৪