ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলপুরে ওসি মাহবুবুর রহমানের জাদু করি হাতের ছোঁয়ায় ফুলপুর সাহাপুর বাজারে বন্ধ হয়ে গেল নেশা বিক্রি জুয়া ও চুরি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার শাহাপুর বাজার এলাকায় । আজ ১৩ই জুলাই শনিবার। গত ১৪ দিন যাবত জুয়া চুরি ইয়াবা হিরোইন গাজা নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রয় ও ক্রয় একেবারেই বন্ধ রয়েছে। গত জুন মাসে প্রায় প্রতিরাতে বাজারের আশেপাশে ২/৩ বার করে চুরি হয়েছে।অতিষ্ঠ ছিল ব্যবসায়ী সহ বাসা বাড়ির মানুষ।
অপরাধীদেরকে দমন করতে ফুলপুর থানা থেকে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। দোকানের তালা ভেঙ্গে চুরি করার সময় সেই সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এক চোর। সেই চোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাহাপুর এলাকার ৭ জন চোরের নাম প্রকাশ করে দেয়। গত ৩০ শে জুন রবিবার থেকে আজ ১৩ জুলাই শনিবার পর্যন্ত ১৪ দিন চলছে একটি চুরির ঘটনাও ঘটেনি।

গাঁজা হিরোইন ইয়াবা, ভারতীয় অবৈধ চিনি,ভেজাল সয়াবিন তেল জাতীয় মাল ক্রয় বিক্রি সর্বোচ্চ কেন্দ্রস্থ সাহাপুর বাজার। সাহাপুর, উত্তর সাহাপুর, মনকান্দা মামুদপুর এলাকার বেশ কিছু নেশা সেবনকারী স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী ধ্বংস হয়ে গেছে।

এখন গাজার সাথে মিশানোর জন্য বিড়ি সিগারেটের পু’টকি টুকায় এক মেধাবী ছাত্র। ঘাম খেয়ে নেশা করে যত্রতত্র। সাহাপুর বাজারে রাত ১২ টার পর থেকে ৪ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে মোবাইলে জুয়া খেলে।

৩/৪ টি চায়ের দোকান খোলা রেখে এই জোয়া খোরদের নিকট চা-বিস্কিট গাজার বিড়ি বিক্রি করে। প্রতিটা বিড়ি বিক্রি করা হয় ২০ টাকা হারে। সারাদিন ইয়াবা হিরোইন গাজা বিক্রেতারা কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে বসে থাকে চায়ের দোকানে।
অপরাধীরা খোলা দোকানে বসে বাজারের নৈশবহরি ও পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে চুরি জোয়া নেশা বিক্রি করে অপরাধ সংগঠিত করে। দোকানপাট বন্ধ থাকলে অপরাধীরা বাজারে আশ্রয় নিতে পারেনা।

নেশার টাকা লেনাদেনা করে চায়ের দোকানে বসে। নেশার ইয়াবা ,হিরোইন, গাজা সরবরাহ করা হয় বাজারের পিছনে অন্ধকার স্থানে মামুদপুর মনকান্দা রাস্তায়। জুয়া খেলা হয় জোয়ারদার বাড়ি, মহেশের বাড়ির পশ্চিম দক্ষিণে খালের পাড়ে ও ডিপ টিউবেলের পিছনে। তাতার কান্দা এলাকায় কায়েসতোপাড়া পিছনে ও ডেহুরিয়ার খোলা মাঠে সুরুজ মেম্বারের বাড়ির উত্তরে।
এই সকল জুয়ার বোর্ডে প্রতি রাতে সুদের টাকা লগ্নীকারী মহাজন বসা থাকে রাত ১২ টার পর থেকে সাহাপুর বাজারে খোলা দোকানে চায়ের স্টলে।
শেষ রাতে জুয়ারীরা সুদের আসলে টাকা তুলে দেয় তাদের হাতে।
রাত ১২ টার পর থেকে যে কয়টি রিকশা অটো সিএনজি সাহাপুর বাজারে আশেপাশে থাকে প্রত্যেকটি রিক্সাসা চালক এই অপরাধের সাথে জড়িত। রাতে জোয়ারীদেরকে নিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় নেশা বিক্রেতা ও চোরদের সহায়তা করে চুরি করা সেচের পাম্প টিউবওয়েল ব্যাটারি মালামাল পরিবহনে।

সাহাপুর বাজারে চায়ের স্টল দোকান খোলার রেখে অপরাধীদেরকে আশ্রয় দেয়,দোকানে মাল বিক্রি করে অধিক লাভের আশায় বসে থাকে।
অপরাধীরা রাত ১২ টার পর এই খোলা দোকান থেকে প্রচুর মালামাল ক্রয় করে। এ সকল নিগুর তথ্য ওসি সাহেব উদঘাটন করে রাত ১১ টার পর থেকে সাহাপুর বাজারে দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমানের এই ঘোষণার পর থেকে সাহাপুর বাজার এলাকায় ১৪ দিন যাব অপরাধপ্রবণতা নেশা জুয়া চুরি একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে কয়েকজন চায়ের স্টলের মালিক ও দোকানদার ফুলপুর থানার ওসির নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাত ১২ টার পর থেকে চায়ের স্টল দোকানপাট খোলা রাখার চেষ্টা করছে। রিক্সাসা গুলো আবার চা স্টলের সামনে এসে রাত ১২ টার পর থেকে বসে থাকছে।
সাহাপুর বাজার এলাকায় অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাত ১২ টার পর থেকে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় সুধীজন।
রাত ১২ টার পর থেকে রাত ৪ টা পর্যন্ত যে সকল এলাকায় দোকানপাট চায়ের স্টল খোলা থাকে মনে করতে হবে এর আশেপাশে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
নেশা মুক্ত এলাকা ঘোষণার জন্য ফুলপুর থানার ওসি মহোদয় সহ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকাবাসী

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফুলপুরে ওসি মাহবুবুর রহমানের জাদু করি হাতের ছোঁয়ায় ফুলপুর সাহাপুর বাজারে বন্ধ হয়ে গেল নেশা বিক্রি জুয়া ও চুরি

আপডেট সময় : ০২:২০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার শাহাপুর বাজার এলাকায় । আজ ১৩ই জুলাই শনিবার। গত ১৪ দিন যাবত জুয়া চুরি ইয়াবা হিরোইন গাজা নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রয় ও ক্রয় একেবারেই বন্ধ রয়েছে। গত জুন মাসে প্রায় প্রতিরাতে বাজারের আশেপাশে ২/৩ বার করে চুরি হয়েছে।অতিষ্ঠ ছিল ব্যবসায়ী সহ বাসা বাড়ির মানুষ।
অপরাধীদেরকে দমন করতে ফুলপুর থানা থেকে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। দোকানের তালা ভেঙ্গে চুরি করার সময় সেই সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এক চোর। সেই চোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাহাপুর এলাকার ৭ জন চোরের নাম প্রকাশ করে দেয়। গত ৩০ শে জুন রবিবার থেকে আজ ১৩ জুলাই শনিবার পর্যন্ত ১৪ দিন চলছে একটি চুরির ঘটনাও ঘটেনি।

গাঁজা হিরোইন ইয়াবা, ভারতীয় অবৈধ চিনি,ভেজাল সয়াবিন তেল জাতীয় মাল ক্রয় বিক্রি সর্বোচ্চ কেন্দ্রস্থ সাহাপুর বাজার। সাহাপুর, উত্তর সাহাপুর, মনকান্দা মামুদপুর এলাকার বেশ কিছু নেশা সেবনকারী স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী ধ্বংস হয়ে গেছে।

এখন গাজার সাথে মিশানোর জন্য বিড়ি সিগারেটের পু’টকি টুকায় এক মেধাবী ছাত্র। ঘাম খেয়ে নেশা করে যত্রতত্র। সাহাপুর বাজারে রাত ১২ টার পর থেকে ৪ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে মোবাইলে জুয়া খেলে।

৩/৪ টি চায়ের দোকান খোলা রেখে এই জোয়া খোরদের নিকট চা-বিস্কিট গাজার বিড়ি বিক্রি করে। প্রতিটা বিড়ি বিক্রি করা হয় ২০ টাকা হারে। সারাদিন ইয়াবা হিরোইন গাজা বিক্রেতারা কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে বসে থাকে চায়ের দোকানে।
অপরাধীরা খোলা দোকানে বসে বাজারের নৈশবহরি ও পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে চুরি জোয়া নেশা বিক্রি করে অপরাধ সংগঠিত করে। দোকানপাট বন্ধ থাকলে অপরাধীরা বাজারে আশ্রয় নিতে পারেনা।

নেশার টাকা লেনাদেনা করে চায়ের দোকানে বসে। নেশার ইয়াবা ,হিরোইন, গাজা সরবরাহ করা হয় বাজারের পিছনে অন্ধকার স্থানে মামুদপুর মনকান্দা রাস্তায়। জুয়া খেলা হয় জোয়ারদার বাড়ি, মহেশের বাড়ির পশ্চিম দক্ষিণে খালের পাড়ে ও ডিপ টিউবেলের পিছনে। তাতার কান্দা এলাকায় কায়েসতোপাড়া পিছনে ও ডেহুরিয়ার খোলা মাঠে সুরুজ মেম্বারের বাড়ির উত্তরে।
এই সকল জুয়ার বোর্ডে প্রতি রাতে সুদের টাকা লগ্নীকারী মহাজন বসা থাকে রাত ১২ টার পর থেকে সাহাপুর বাজারে খোলা দোকানে চায়ের স্টলে।
শেষ রাতে জুয়ারীরা সুদের আসলে টাকা তুলে দেয় তাদের হাতে।
রাত ১২ টার পর থেকে যে কয়টি রিকশা অটো সিএনজি সাহাপুর বাজারে আশেপাশে থাকে প্রত্যেকটি রিক্সাসা চালক এই অপরাধের সাথে জড়িত। রাতে জোয়ারীদেরকে নিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় নেশা বিক্রেতা ও চোরদের সহায়তা করে চুরি করা সেচের পাম্প টিউবওয়েল ব্যাটারি মালামাল পরিবহনে।

সাহাপুর বাজারে চায়ের স্টল দোকান খোলার রেখে অপরাধীদেরকে আশ্রয় দেয়,দোকানে মাল বিক্রি করে অধিক লাভের আশায় বসে থাকে।
অপরাধীরা রাত ১২ টার পর এই খোলা দোকান থেকে প্রচুর মালামাল ক্রয় করে। এ সকল নিগুর তথ্য ওসি সাহেব উদঘাটন করে রাত ১১ টার পর থেকে সাহাপুর বাজারে দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। ফুলপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমানের এই ঘোষণার পর থেকে সাহাপুর বাজার এলাকায় ১৪ দিন যাব অপরাধপ্রবণতা নেশা জুয়া চুরি একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে কয়েকজন চায়ের স্টলের মালিক ও দোকানদার ফুলপুর থানার ওসির নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাত ১২ টার পর থেকে চায়ের স্টল দোকানপাট খোলা রাখার চেষ্টা করছে। রিক্সাসা গুলো আবার চা স্টলের সামনে এসে রাত ১২ টার পর থেকে বসে থাকছে।
সাহাপুর বাজার এলাকায় অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাত ১২ টার পর থেকে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় সুধীজন।
রাত ১২ টার পর থেকে রাত ৪ টা পর্যন্ত যে সকল এলাকায় দোকানপাট চায়ের স্টল খোলা থাকে মনে করতে হবে এর আশেপাশে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
নেশা মুক্ত এলাকা ঘোষণার জন্য ফুলপুর থানার ওসি মহোদয় সহ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকাবাসী