ময়মনসিংহ ফুলপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফুলপুর সদর ইউনিয় সহ ১ নং ছনধরা ইউনিয়ন,৪নং সিংহেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হাজারো মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছে।
ডুবে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের জমি। ভেসে গেছে শত শত ফিসারী, পুকুর, ও মাছের ঘের,। অনেকের ঘরে পানি ডুকে গেছে যার কারনে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। আবার কেউ বাড়িতে রয়েছেন কিন্তুু রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাবান্না করতে পারছেন না ফলে তারা খেয়ে না খেয়ে অর্দাহারে অনাহার দিন যাপন করছেন। গোয়াল ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় গরু বাছুর নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অনেক বাড়ি ঘরে পানি উঠে গেছে কিন্তু তাদের ঘরের আসবাবপত্র রেখে তারা বাড়ি ছেড়ে যেতে পারছেন না তারা সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেক জায়গা ত্রান দেয়া হলেও ত্রাণ বঞ্চিত রয়েছে বহু মানুষ। তেমনি একজন ফুলপুর সদর ইউনিয়নেরফতেপুর গ্রামের ইমান আলী তার বাড়িতে থাকার ঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর সহ সব জায়গায় অথৈ পানি কিন্তু তিনি বলেন আমরা তিন দিন যাব বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছি আমাদেরকে কোন প্রকার সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয় নাই। পার্শ্ববর্তী আরেকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সেখানেও তাদের বাড়ি ঘরে অথৈ পানি তারা রান্নাবান্না করতে পারছেন না চিড়া মুড়ি খেয়ে দিন যাপন করছেন কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজখবর নিতে আসেনি এবং কোন ত্রাণ সহায়তাও করেননি। তারা বলেন আমরা অনেক কষ্টে আছি পানির স্রোতে ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম তাই উপজেলা প্রশাসন যেন আমাদের খোঁজখবর নেন এবং আমাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেন। কারণ আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি আমাদের সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে কসলী জমি কুকুর বাড়িঘর সব পানির নিচে।
ফতেপুর গ্রামের মত পার্শ্ববর্তী আলোকদি নাকা গাঁও সহ অনেক জায়গায় অনেক মানুষ পানী বন্দী অবস্থায় রয়েছেন কিন্তুু তারা দাবি করছেন আজ পর্যন্ত তারা কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পাননি। কিছু কিছু জায়গায় ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও সেগুলো শুধুমাত্র যেসব জায়গায় রাস্তাঘাট এর কাছে তাদেরকে দেওয়া হয়। আমরা যারা ভয়াবহ বন্যার কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি আমাদের বাড়িতে যাওয়ার মত রাস্তাঘাট নেই তাই আমরা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই ঐ সমস্ত বাসিন্দাদের দাবি তারা যেন ন্যূনতম সুযোগ সুবিধাটুকু পান কারণ তাদের বাড়িতে রান্নাবান্না করার মত কোন ব্যবস্থা নেই সুপ্রিয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই তাই তারা উপজেলা প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম। নির্বাহী সম্পাদক:মো: নাইমুল ইসলাম, বিজ্ঞাপন এবং নিউজ: [email protected] . www.dailysarabela.com । ঢাকা অফিস: বিসিআইসি ভবন ১১ তলা ৩০-৩১ দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকা ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত। কিশোরগঞ্জ অফিস ৯৭, হয়বত নগর ,কিশোরগঞ্জ থেকে পরিচালিত।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত সারাবেলা ২০২৪