ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরবে পার্টনারশিপের হিসাব পেতে পার্টনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চিশতি ফ্লাওয়ার মিলস লি. এর মালিকানার হিসাব পেতে অভিযোগ উঠেছে মিল পার্টার মামুনুর রশীদ এর বিরুদ্ধে৷ অভিযোগকারী তারই পার্টনার আমেরিকা প্রবাসী মামুনুর রহমান। মামুনুর রহমান ভৈরব পৌর শহরের চণ্ডিবের গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকায় একটি ফ্লাওয়ার মিল ছিল মামুনুর রহমানের৷ তিনি ২০০১ সালে মামুনুর রশীদ নামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে পার্টনার করেন। দীর্ঘদিন ব্যবসার পর ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে মামুনুর রহমানকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেন মামুনুর রশীদ। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত হিসাব না পাওয়ায় ও দীর্ঘদিন পর দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় পার্টনারশিপের হিসাব পেতে পার্টনার মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মামুনুর রহমান। এদিকে গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তন হওয়ায় মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যায় মামুনুর রশীদ। মিলটির চাবি মামুনুর রহমানের আত্মীয় আতিকুর রহমান দিপুর কাছে চাবি বুঝিয়ে দেন মামুনুর রশীদের কেয়ার টেকার বদরুল।
এ বিষয়ে মামুনুর রহমানের আত্মীয় আতিকুর রহমান দিপু বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামুনুর রশীদ একাধিক মামলা দিয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে আমার বোন জামাই মামুনুর রহমানকে।
দীর্ঘ পনেরো বছর মামুনুর রহমানকে কোনো হিসেব দেয়নি। আমি যতটুকু জানতে পরেছি প্রতিমাসে আড়াই লক্ষ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও এক টাকাও দেয়নি মামুনুর রশিদ। বরং এই জমির নামে ব্যাংকে করা লোনের টাকা পরিশোধ মামুনুর রহমানকে করতে হচ্ছে কারণ সে জমির মালিক ও মিল এর ৫০% পার্টনার৷ আমাকে হঠাৎ ২০ আগস্ট কেয়ার টেকার বদরুল মেইলের চাবি বুঝিয়ে দেয়। এরপর সে পালিয়ে যায়। তাকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি। মিলটি দীর্ঘ ৬ মাস যাবত বন্ধ ছিল৷ মেশিন গুলো নষ্ট হয়ে গেছে প্রায়৷ এদিকে মামুনুর রশিদ পলাতক রয়েছে৷ যতটুকু জানি তিনি শেখ সেলিমের আত্মীয় তিনি। অর্ণেট কঞ্জুমারের ব্যবসাও করেন। তিনি সিলেটের বাসিন্দা।
আমরা এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মামুনুর রহমান বলেন, আমার বাবা বিএনপির সাবেক এমপি ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসারপর আমরা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এদিকে আমার পার্টনার মামুনুর রশিদ আমার সাথে বেঈমানি করে মিলটি জবর দখল করে নেয়। আমাকে একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে মিলটি তার দখলে করে রাখেন৷ আমিও দীর্ঘদিন যাবত আমেরিকায় রয়েছি। দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। মানুষ তার কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে আমিও আমরা পার্টনারশিপের হিসাব চায়। আমার প্রাপ্য হিসাবের টাকা ফেরত চাই।
সরকার পতনের পর আমরা পার্টনার মামুনুর রশীদ পলাতক থাকায় আমি কিছুই করতে পারছি না৷ ভৈরবের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় এমনটি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ার মামলার মাধ্যমে আমার প্রাপ্য টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে কথা বলতে মামুনুর রশীদেকে তার মুঠো ফোনে একাধিক কল দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়৷
এদিকে মামুনুর রশীদের কেয়ার টেকার বদরুলের ০১৭৬৬৯১৪৯৫৯ নাম্বারে কল দিলে ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভৈরবে পার্টনারশিপের হিসাব পেতে পার্টনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চিশতি ফ্লাওয়ার মিলস লি. এর মালিকানার হিসাব পেতে অভিযোগ উঠেছে মিল পার্টার মামুনুর রশীদ এর বিরুদ্ধে৷ অভিযোগকারী তারই পার্টনার আমেরিকা প্রবাসী মামুনুর রহমান। মামুনুর রহমান ভৈরব পৌর শহরের চণ্ডিবের গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকায় একটি ফ্লাওয়ার মিল ছিল মামুনুর রহমানের৷ তিনি ২০০১ সালে মামুনুর রশীদ নামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে পার্টনার করেন। দীর্ঘদিন ব্যবসার পর ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে মামুনুর রহমানকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেন মামুনুর রশীদ। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত হিসাব না পাওয়ায় ও দীর্ঘদিন পর দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় পার্টনারশিপের হিসাব পেতে পার্টনার মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মামুনুর রহমান। এদিকে গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তন হওয়ায় মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যায় মামুনুর রশীদ। মিলটির চাবি মামুনুর রহমানের আত্মীয় আতিকুর রহমান দিপুর কাছে চাবি বুঝিয়ে দেন মামুনুর রশীদের কেয়ার টেকার বদরুল।
এ বিষয়ে মামুনুর রহমানের আত্মীয় আতিকুর রহমান দিপু বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামুনুর রশীদ একাধিক মামলা দিয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে আমার বোন জামাই মামুনুর রহমানকে।
দীর্ঘ পনেরো বছর মামুনুর রহমানকে কোনো হিসেব দেয়নি। আমি যতটুকু জানতে পরেছি প্রতিমাসে আড়াই লক্ষ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও এক টাকাও দেয়নি মামুনুর রশিদ। বরং এই জমির নামে ব্যাংকে করা লোনের টাকা পরিশোধ মামুনুর রহমানকে করতে হচ্ছে কারণ সে জমির মালিক ও মিল এর ৫০% পার্টনার৷ আমাকে হঠাৎ ২০ আগস্ট কেয়ার টেকার বদরুল মেইলের চাবি বুঝিয়ে দেয়। এরপর সে পালিয়ে যায়। তাকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি। মিলটি দীর্ঘ ৬ মাস যাবত বন্ধ ছিল৷ মেশিন গুলো নষ্ট হয়ে গেছে প্রায়৷ এদিকে মামুনুর রশিদ পলাতক রয়েছে৷ যতটুকু জানি তিনি শেখ সেলিমের আত্মীয় তিনি। অর্ণেট কঞ্জুমারের ব্যবসাও করেন। তিনি সিলেটের বাসিন্দা।
আমরা এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মামুনুর রহমান বলেন, আমার বাবা বিএনপির সাবেক এমপি ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসারপর আমরা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এদিকে আমার পার্টনার মামুনুর রশিদ আমার সাথে বেঈমানি করে মিলটি জবর দখল করে নেয়। আমাকে একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে মিলটি তার দখলে করে রাখেন৷ আমিও দীর্ঘদিন যাবত আমেরিকায় রয়েছি। দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। মানুষ তার কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে আমিও আমরা পার্টনারশিপের হিসাব চায়। আমার প্রাপ্য হিসাবের টাকা ফেরত চাই।
সরকার পতনের পর আমরা পার্টনার মামুনুর রশীদ পলাতক থাকায় আমি কিছুই করতে পারছি না৷ ভৈরবের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় এমনটি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ার মামলার মাধ্যমে আমার প্রাপ্য টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে কথা বলতে মামুনুর রশীদেকে তার মুঠো ফোনে একাধিক কল দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়৷
এদিকে মামুনুর রশীদের কেয়ার টেকার বদরুলের ০১৭৬৬৯১৪৯৫৯ নাম্বারে কল দিলে ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।