ভৈরব থানায় সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী ও বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামি করে ১৪০ জনের নামে মামলা
- আপডেট সময় : ১০:৩০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে
সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামি করে ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ২৮ আগস্ট বুধবার এ মামলাটি দায়ের করেন
ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর সরকার বাড়ির এলাকার হাজী আরব মিয়ার ছেলে আলম সরকার। তিনি কমলপুর ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন ভৈরব কমলপুর এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি বাসভবন ও ভৈরব বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায়
মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সাখাওয়াত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, সহ-সভাপতি সেলিম খান, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক
আহমেদ সৌরভসহ ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী আলম সরকার বলেন, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় আমিসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মী অবস্থান করছিলাম। ওই সময় সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে দা, ছুরি, পাইপগান, শর্টগানসহ
বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামি মোশাররফ হোসেন মুসা, আরমান উল্লাহ, সাখাওয়াত উল্লাহ, রাকিব রায়হান, জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, আতিক আহমেদ সৌরভসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ডাকবাংলোতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাংলো ভাঙচুর করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে
নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ জানান, ১৯ জুলাই এর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত এর নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আমিসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। শরীফুল আলম
সাহেবের ডাকবাংলো বা বিএনপির অফিস কে বা কারা ভেঙ্গেছে আমাদের জানা নেই। নাজমুল হাসান পাপনকে আসামি করে ভৈরবে নোংরা রাজনীতির প্রতিফলন শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছরে নাজমুল হাসান পাপনের হাত দিয়ে ভৈরবের কারো ক্ষতি বা মামলা হয়নি। আমরা আইনী
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলার মোকাবেলা করবো।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।