ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নান্দাইলে সাত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার।। মনোহরদীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান নরসিংদীতে ব্র্যাকের “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত সততা চর্চার অভ্যাস গড়তে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ফুলপুর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নয়া কমিটি গঠন সভাপতি মাওঃ আবু রায়হান, সম্পাদক মাওঃ আওলাদ রাজশাহীতে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতাদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনে দর্শনার্থীদের সুবিদায় নদী খনন রায়পুরায় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মনবাড়িয়া অনার্সের কেন্দ্র স্থানান্তরের দাবীতে মানব বন্ধন মনোহরদী টু কটিয়াদী সংযোগ রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাতায়াতকারীরা।

মনোহরদীতে নিবন্ধনবিহীন সমিতি কর্তৃক জিম্মি গ্রাহক,কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ নরসিংদী জেলাধীন মনোহরদী উপজেলার শেখেরবাজারে অবস্থিত আপন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি লিঃ কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জিম্মি হয়ে পড়েছেন অনেক গ্রাহক। কিস্তি দিতে

বিলম্ব হলেই দেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা। ইতিমধ্যে অনেক গ্রাহককে খাটতে হয়েছে জেল। এতে করে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সঠিক সময়ে

কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় একাধিক গ্রাহকের বিরুদ্ধে ব্যাংকের চেক বইয়ের পাতা দিয়ে আদালতে মামলা করার অভিযোগ উঠেছে।

গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ অভাব-অনটনের তাড়নায় আপন ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। কিন্তু ঋণ দেওয়ার আগেই সমিতি গ্রাহকদের কাছ থেকে ফাঁকা ব্যাংক চেকের

পাতা ও তিনশত টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।

হাবিজপুর গ্রামের বাসিন্দা সমিতির গ্রাহক আঃ সাত্তার জানান,আমি সমিতি থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে সঠিক সময়ে কিস্তি না দিতে পারায় আমার বিরুদ্ধে ফাঁকা চেকে টাকার অংক বসিয়ে

আদালতে দুই লক্ষ টাকার মামলা দায়ের করে। পরবর্তী সময়ে আমিও সমিতি কতৃপক্ষ মোজাম্মেল ও আলম হোসেন এর বিরুদ্ধে নরসিংদী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালতে জালিয়াতির মামলা

দায়ের করি।

একইভাবে এই সমিতি থেকে ফাঁকা ব্যাংক চেকের পাতা জমা দিয়ে ১০,০০০/-(দশ হাজার)টাকা ঋণ নিয়েছিলেন হাবিজপুর গ্রামের আলামিন কিন্তু তাঁর পাশ বইয়ে ১১৮০০/-(এগারো হাজার

আটশত) টাকা লিখে দিয়েছেন। আলামিন ঋণের টাকা পরিশোধ করলেও ফাঁকা চেকে সমিতি কর্তৃপক্ষ টাকার অংক বসিয়ে তার বিরুদ্ধে একলক্ষ নব্বই হাজার টাকার মামলা দায়ের করে। আলামিন

এর মতো একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ সমিতি কর্তৃপক্ষ কিস্তির টাকা পরিশোধ করার পরও তাদের দেওয়া ব্যাংক চেকের পাতা ফেরৎ না দিয়ে গড়িমসি ও টালবাহানা করে এরপর তাদের দাবীকৃত

কিস্তির টাকা দিতে বিলম্ব হলেই তাদের নামে আদালতে মামলা করে দেয়। সমিতিটি এভাবেই গ্রাহকদেরকে হয়রানী করে আসছে। হাবিজপুর গ্রামের বাসিন্দা নাসিমা বেগম পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ

নিয়েছিলেন। কিস্তি দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে নব্বই হাজার টাকার মামলা দায়ের করে সমিতি কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকেরা সংবাদ মাধ্যমকে আরো জানান,আমরা অভাবের তাড়নায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে থাকি কিন্তু সঠিক সময়ে কিস্তি দিতে না পারায় সমিতি কর্তৃপক্ষ ঢালাও ভাবে চেকের মামলা দিয়ে

আমাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে।

তা ছাড়াও কিস্তি আদায়ে বিলম্ব হলে সমিতি কর্তৃপক্ষ ও মাঠ কর্মীরা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এমতাবস্থায় এই হয়রানী থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।

শেখেরবাজার ও হাবিজপুর এলাকার বেশকয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাদের কাছে সমিতি এত টাকা পাওয়ার কথা না। সমিতিটি যেভাবে গ্রাহকদের

হয়রানী শুরু করেছে,তা বন্ধ না হলে এলাকার মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে। তা বন্ধ করা এখন সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে,মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মনোহরদীতে নিবন্ধনবিহীন সমিতি কর্তৃক জিম্মি গ্রাহক,কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপডেট সময় : ১০:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ নরসিংদী জেলাধীন মনোহরদী উপজেলার শেখেরবাজারে অবস্থিত আপন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি লিঃ কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জিম্মি হয়ে পড়েছেন অনেক গ্রাহক। কিস্তি দিতে

বিলম্ব হলেই দেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা। ইতিমধ্যে অনেক গ্রাহককে খাটতে হয়েছে জেল। এতে করে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সঠিক সময়ে

কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় একাধিক গ্রাহকের বিরুদ্ধে ব্যাংকের চেক বইয়ের পাতা দিয়ে আদালতে মামলা করার অভিযোগ উঠেছে।

গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ অভাব-অনটনের তাড়নায় আপন ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। কিন্তু ঋণ দেওয়ার আগেই সমিতি গ্রাহকদের কাছ থেকে ফাঁকা ব্যাংক চেকের

পাতা ও তিনশত টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।

হাবিজপুর গ্রামের বাসিন্দা সমিতির গ্রাহক আঃ সাত্তার জানান,আমি সমিতি থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে সঠিক সময়ে কিস্তি না দিতে পারায় আমার বিরুদ্ধে ফাঁকা চেকে টাকার অংক বসিয়ে

আদালতে দুই লক্ষ টাকার মামলা দায়ের করে। পরবর্তী সময়ে আমিও সমিতি কতৃপক্ষ মোজাম্মেল ও আলম হোসেন এর বিরুদ্ধে নরসিংদী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালতে জালিয়াতির মামলা

দায়ের করি।

একইভাবে এই সমিতি থেকে ফাঁকা ব্যাংক চেকের পাতা জমা দিয়ে ১০,০০০/-(দশ হাজার)টাকা ঋণ নিয়েছিলেন হাবিজপুর গ্রামের আলামিন কিন্তু তাঁর পাশ বইয়ে ১১৮০০/-(এগারো হাজার

আটশত) টাকা লিখে দিয়েছেন। আলামিন ঋণের টাকা পরিশোধ করলেও ফাঁকা চেকে সমিতি কর্তৃপক্ষ টাকার অংক বসিয়ে তার বিরুদ্ধে একলক্ষ নব্বই হাজার টাকার মামলা দায়ের করে। আলামিন

এর মতো একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ সমিতি কর্তৃপক্ষ কিস্তির টাকা পরিশোধ করার পরও তাদের দেওয়া ব্যাংক চেকের পাতা ফেরৎ না দিয়ে গড়িমসি ও টালবাহানা করে এরপর তাদের দাবীকৃত

কিস্তির টাকা দিতে বিলম্ব হলেই তাদের নামে আদালতে মামলা করে দেয়। সমিতিটি এভাবেই গ্রাহকদেরকে হয়রানী করে আসছে। হাবিজপুর গ্রামের বাসিন্দা নাসিমা বেগম পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ

নিয়েছিলেন। কিস্তি দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে নব্বই হাজার টাকার মামলা দায়ের করে সমিতি কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকেরা সংবাদ মাধ্যমকে আরো জানান,আমরা অভাবের তাড়নায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে থাকি কিন্তু সঠিক সময়ে কিস্তি দিতে না পারায় সমিতি কর্তৃপক্ষ ঢালাও ভাবে চেকের মামলা দিয়ে

আমাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে।

তা ছাড়াও কিস্তি আদায়ে বিলম্ব হলে সমিতি কর্তৃপক্ষ ও মাঠ কর্মীরা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এমতাবস্থায় এই হয়রানী থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।

শেখেরবাজার ও হাবিজপুর এলাকার বেশকয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাদের কাছে সমিতি এত টাকা পাওয়ার কথা না। সমিতিটি যেভাবে গ্রাহকদের

হয়রানী শুরু করেছে,তা বন্ধ না হলে এলাকার মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে। তা বন্ধ করা এখন সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে,মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।