ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকার গণপিটুনি দিয়ে শিক্ষককে পুলিশে সোর্পদ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা খলিলুল্লাহ্ (২৭) কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছে উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার (৪জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের বেলালাবাদ দত্তপুর গ্রামে মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক একই ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মো. লাল মিয়ার পুত্র। ছাত্রকে বলৎকারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসার সাইটবোর্ড সহ কাঠের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গত দুই বছর আগে কামালপুর গ্রামের লাল মিয়ার বড় ছেলে মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ্ ময়মনসিংহ -কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বেলালাবাদ দত্তপুর গ্রামে মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসা স্থাপন করেন। সেখানে তার ছোট ভাই মাওলানা খলিলুল্লাহ্ মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। ঐ শিক্ষক মাদ্রাসার নূরানী শাখার এক ছাত্রকে কৌশলে তিনবার বলৎকার করে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি ছাত্রের বাবা জানতে পেরে মাদ্রাসায় উপস্থিত ছাত্রদের কাছে জিজ্ঞেস করে সত্যতা পান। পরে মুহতামিম মাওলানা খলিলুল্লাহ্ কে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও তোপের মুখে স্বীকার করে।

এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মাওলানা খলিলুল্লাহ্ কে গণপিটুনি দিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখেন। নান্দাইল মডেল থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মাওলানা খলিলুল্লাহ্ কে থানা নিয়ে যায়। এর পর পরেই মাদ্রাসার ছাত্ররা মাদ্রাসা থেকে যার যার বাড়িতে চলে যায়।

নূরানী শাখার এক ছাত্রের অভিভাবক মো. আসাদুল্লাহ্ বলেন- মাদ্রাসার হুজুরে এমন ঘটনা করবে তা কখনও চিন্তা করি নাই। খুবই নেক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি এ ছাড়া তো কিছু করার নেই।

মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা বলেন – ছেলেটিকে হাফেজ বানাবো বলে মাদ্রাসায় দিছি। ছেলে কান্নাকাটি করে বলছে হুজুর আমার সাথে তিন দিন খারাপ কাজ করছে। আমি মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলে সবাই বলছে হুজুর খারাপ কাজ করে। এর সঠিক বিচার চাই।

মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ্ মুঠোফোনে বলেন- আমি তো মাদ্রাসায় থাকি না। আজকে মাদ্রাসায় আসলে ছাত্রের বাবা এসে ঘটনা বলতেছে। উত্তেজিত লোকজন ভাইকে মারধর করছে। এখন তো ঘটনা সত্য না হলেও তো সত্য।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন -মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন এখনও অভিযোগ পাইনি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকার গণপিটুনি দিয়ে শিক্ষককে পুলিশে সোর্পদ

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

 

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা খলিলুল্লাহ্ (২৭) কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছে উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার (৪জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের বেলালাবাদ দত্তপুর গ্রামে মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক একই ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মো. লাল মিয়ার পুত্র। ছাত্রকে বলৎকারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসার সাইটবোর্ড সহ কাঠের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গত দুই বছর আগে কামালপুর গ্রামের লাল মিয়ার বড় ছেলে মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ্ ময়মনসিংহ -কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বেলালাবাদ দত্তপুর গ্রামে মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসা স্থাপন করেন। সেখানে তার ছোট ভাই মাওলানা খলিলুল্লাহ্ মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। ঐ শিক্ষক মাদ্রাসার নূরানী শাখার এক ছাত্রকে কৌশলে তিনবার বলৎকার করে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি ছাত্রের বাবা জানতে পেরে মাদ্রাসায় উপস্থিত ছাত্রদের কাছে জিজ্ঞেস করে সত্যতা পান। পরে মুহতামিম মাওলানা খলিলুল্লাহ্ কে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও তোপের মুখে স্বীকার করে।

এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মাওলানা খলিলুল্লাহ্ কে গণপিটুনি দিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখেন। নান্দাইল মডেল থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মাওলানা খলিলুল্লাহ্ কে থানা নিয়ে যায়। এর পর পরেই মাদ্রাসার ছাত্ররা মাদ্রাসা থেকে যার যার বাড়িতে চলে যায়।

নূরানী শাখার এক ছাত্রের অভিভাবক মো. আসাদুল্লাহ্ বলেন- মাদ্রাসার হুজুরে এমন ঘটনা করবে তা কখনও চিন্তা করি নাই। খুবই নেক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি এ ছাড়া তো কিছু করার নেই।

মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা বলেন – ছেলেটিকে হাফেজ বানাবো বলে মাদ্রাসায় দিছি। ছেলে কান্নাকাটি করে বলছে হুজুর আমার সাথে তিন দিন খারাপ কাজ করছে। আমি মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলে সবাই বলছে হুজুর খারাপ কাজ করে। এর সঠিক বিচার চাই।

মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ্ মুঠোফোনে বলেন- আমি তো মাদ্রাসায় থাকি না। আজকে মাদ্রাসায় আসলে ছাত্রের বাবা এসে ঘটনা বলতেছে। উত্তেজিত লোকজন ভাইকে মারধর করছে। এখন তো ঘটনা সত্য না হলেও তো সত্য।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন -মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন এখনও অভিযোগ পাইনি