র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলাকারী ভৈরব উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আসামী রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প
- আপডেট সময় : ০৬:০০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উৎঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের মত জঘন্য অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব-১৪ অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
গত ১৯/০৭/২০২৪ খ্রি. তারিখ বেলা অনুমান ১৬.০০ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন কমলপুর এলাকায় এবং একই তারিখ বেলা অনুমান ১৪০০ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শহীদুল্লাহ কায়সার পাদুকা মার্কেটের সামনে এজাহার নামীয় আসামী রাজু মিয়া (৫০) সহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীগন বে-আইনী জনতাবদ্ধে রামদা, কিরিচ, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা, ককটেল সহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলের উপর হামলা করে। উক্ত বিষয়ে আলম সরকার (৪২) এবং রুবেল মিয়া (৩২) বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। যাহা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার মামলা নং-১৩/২৯২, তারিখ-২৭/০৮/২০২৪ খ্রি. ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৩৭৯/৩৮০/৫০৬(২)/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ তৎসহ 3/3A The Explosive Substances Act, 1908 এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার মামলা নং-১৪/২৯৩, তারিখ-২৭/০৮/২০২৪ খ্রি. ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২)/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ তৎসহ 3/3A The Explosive Substances Act, 1908 রুজু হয়। বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মামলা রুজু পরবর্তীতে এজাহার নামীয় উপরোক্ত আসামিসহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিগণ গ্রেফতার এড়াতে অজ্ঞাতস্থানে পলাতক থাকে। আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে মামলা রুজু পরবর্তী সময় হইতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক থাকা উপরোক্ত এজাহার নামীয় আসামীর অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প। পরবর্তীতে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অদ্য ১৩/১০/২০২৪ ইং তারিখ ১৪৩০ ঘটিকায় ভৈরব থানাধীন ভৈরব ফেরীঘাট মিনাবাজার এলাকা হতে আসামী রাজু মিয়া (৫০), পিতা-মৃত শেখ তারা, সাং-ভৈরবপুর উত্তরপাড়া, থানা-ভৈরব, জেলা-কিশোরগঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও উক্ত মামলার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে ধৃত আসামি উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।