সংসদ নির্বাচনে দূর্বৃত্তদের আগুনে পুঁড়ে যাওয়া স্কুল ৭ মাসেও হয়নি মেরামত
- আপডেট সময় : ০৬:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দূর্বৃত্তদের আগুনে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দুটি ভবনের চারটি কক্ষ পুঁড়ে যায়। নির্বাচনের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত হয়নি কক্ষগুলো। ফলে পাশের একটি পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুনে পুঁড়ে যাওয়া কক্ষগুলো মেরামত করে পাঠদানের উপযুক্ত করা।
জানা গেছে- নান্দাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী কিশোরগঞ্জের
সীমান্ত ঘেষা সিংরইল ইউনিয়নে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে শিশু থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ২১৮ শিক্ষার্থী ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্যালয়টি নির্বাচনী ৮৫নং ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ই জানুয়ারী গভীর রাতে দূর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ে আগুন দেয়। এতে বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষ আগুনে পুঁড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিদ্যালয়ের,চেয়ার, বেঞ্চ,ফ্যান, আসবাবপত্র সহ বৈদ্যুতিক লাইন। এছাড়াও আগুনের তাপে দেয়ালের কালসে দাগ পড়ে ধসে পড়ে প্লাস্টার।
তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন- পুঁড়ে যাওয়া কক্ষগুলো দেখলে খুব খারাপ লাগে। ক্লাস করতে পারি না মেরামতের হয়নি বলে। তাও জানি না কবে মেরামত হবে।
হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেগম নুরুনাহার বলেন- ৮৫ হাজার খরচ করে সাময়িক কিছু কাজ করেছি। সঠিক ভাবে মেরামত না করতে না পারায় পাঠদান করানো যাচ্ছে না। এদিকে বৈদ্যুতিক লাইন পুঁড়ে যাওয়াতে প্রতিবেশী একজনের কাছ থেকে লাইন এনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
নাদাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ আহম্মদ বলেন,ওই বিদ্যালয়টি সাময়িক মেরামতের জন্যে ৭ লাখ টাকা বরাদ্ধ এসেছে। প্রাক্কলনের(ইস্টিমিট)জন্যে দুদিন আগে একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। প্রথমে জরুরী কাজগুলাে করা হবে। টাকা থাকলে তারপর আসবাবপত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে