ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এক ইজারায় নদী দখল ; অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলন।। নান্দাইলে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা মামুনের মতবিনিময় সভা চির অবিশ্বাসী নারীচির অবিশ্বাসী নারী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ বছরেও চালু হয়নি ঢাকামুখি যান চলাচল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ বছরেও চালু হয়নি ঢাকামুখি যান চলাচল ভৈরব পঞ্চবটীতে প্রতিবেশীর বাসার ওয়্যারড্রোবে মিললো নিখোঁজ শিশুর মরদেহ ভৈরবে কার্ভার ভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে ৫ জন নিহত তাড়াইল উপজেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের কমিটি অনুমোদন । রাজশাহী আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখনও বৈষম্যর শিকার কর্মচারীরা ধনবাড়ীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

সুনামগঞ্জে নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে দেশের দ্বিতীয় স্মৃতিসৌধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত স্থান মহিষখলা। মধ্যনগর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মহিষখলাতে গড়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সাব—সেক্টর।

২০১২ সালে কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে নির্মিত স্মৃতিসৌধ নদী ভাঙনে ঝুঁকির সম্মুখীন। এটি রক্ষায় দ্রুত প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশের নানা স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার সাভারের স্মৃতিসৌধের পর মহিষখলায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়।

মহিষখলা নদীর তীরে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমনের পরিকল্পনা, স্থপতি রাজন দাসের নকশায় ও গীতিকার নজরুল ইসলাম

বাবুর লেখা ‘সবকটা জানা খুলে দাও না’ গানের আঙ্গিকে ১৮ হাজার ৭০০ বর্গফুট জায়গায় স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়। জেলা পরিষদের অর্থায়নে স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১

কোটি ৯ লাখ টাকা। তবে বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে স্মৃতিসৌধ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলের কারণে স্মৃতিসৌধের পশ্চিম পাড় ক্রমেই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। বছরখানেক আগে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে স্মৃতিসৌধটি রক্ষায় চেষ্টা

হলেও তা টেকসই হয়নি। স্থায়ীভাবে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা না হলে যে কোনো সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে স্থাপনাটি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, স্মৃতিসৌধটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। মহিষখলার এই স্থাপনাচি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মৃতিসৌধ। প্রতিরক্ষা

দেয়াল না থাকায় নদীগর্ভে বিলীন হবার আশংকা দেখা দিয়েছে এটি। স্মৃতিসৌধ রক্ষায় প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা প্রয়োজন। সেই সাথে সার্বক্ষণিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে একজন

কর্মচারী নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সুনামগঞ্জে নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে দেশের দ্বিতীয় স্মৃতিসৌধ

আপডেট সময় : ০১:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত স্থান মহিষখলা। মধ্যনগর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মহিষখলাতে গড়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সাব—সেক্টর।

২০১২ সালে কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে নির্মিত স্মৃতিসৌধ নদী ভাঙনে ঝুঁকির সম্মুখীন। এটি রক্ষায় দ্রুত প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশের নানা স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার সাভারের স্মৃতিসৌধের পর মহিষখলায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়।

মহিষখলা নদীর তীরে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমনের পরিকল্পনা, স্থপতি রাজন দাসের নকশায় ও গীতিকার নজরুল ইসলাম

বাবুর লেখা ‘সবকটা জানা খুলে দাও না’ গানের আঙ্গিকে ১৮ হাজার ৭০০ বর্গফুট জায়গায় স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়। জেলা পরিষদের অর্থায়নে স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১

কোটি ৯ লাখ টাকা। তবে বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে স্মৃতিসৌধ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলের কারণে স্মৃতিসৌধের পশ্চিম পাড় ক্রমেই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। বছরখানেক আগে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে স্মৃতিসৌধটি রক্ষায় চেষ্টা

হলেও তা টেকসই হয়নি। স্থায়ীভাবে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা না হলে যে কোনো সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে স্থাপনাটি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, স্মৃতিসৌধটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। মহিষখলার এই স্থাপনাচি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মৃতিসৌধ। প্রতিরক্ষা

দেয়াল না থাকায় নদীগর্ভে বিলীন হবার আশংকা দেখা দিয়েছে এটি। স্মৃতিসৌধ রক্ষায় প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা প্রয়োজন। সেই সাথে সার্বক্ষণিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে একজন

কর্মচারী নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।