সংবাদ শিরোনাম ::
৬ মাসেও ঠিক হয়নি মাধ্যমিকের নতুন মূল্যায়ন কাঠামো
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৮:২৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
আগামী ৩ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাষিক মূল্যায়ন কিন্তু শিক্ষাবর্ষের ছয় মাস পার হতে চললেও মাধ্যমিকের নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন প্রক্রিয়াই চূড়ান্ত হয়নি। সাতটি স্কেলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের প্রস্তাব চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে কারিকুলাম বোর্ড। একে সিদ্ধান্তহীনতার বহিঃপ্রকাশ আখ্যা দিয়ে সাত স্কেলে মূল্যায়ন পদ্ধতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষা বিশ্লেষকরা।
চলতি বছর মাধ্যমিক স্তরের নবম শ্রেণি পর্যন্ত চলছে নতুন কারিকুলাম। তবে গত বছর থেকেই অভিভাবকসহ নানা অংশীজনের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যায়ন পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিটি বিষয়ে পাঁচ ঘণ্টার মূল্যায়ন হবে। মূল্যায়নের ৬৫ শতাংশ হবে লিখিতভাবে। আর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩৫ শতাংশ । এছাড়া একটি শ্রেণিতে দুটি বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত পারদর্শিতা ও দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হলেও শর্ত সাপেক্ষে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া যাবে।
সবশেষ প্রারম্ভিক থেকে শুরু করে বিকাশমান, অনুসন্ধানী, সক্রিয়, অগ্রগামী, অর্জনমুখি ও অনন্য এই সাতটি স্কেলে মূল্যায়নের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। যেখানে প্রারম্ভিক পারদর্শিতার সর্বনিম্ন স্তর। আর অনন্য হলো হলো সর্বোচ্চ স্তর। এছাড়া একটি শ্রেণিতে দুটি বিষয়য়ে কাঙিক্ষত পারদর্শিত ও দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে শর্তসাপেক্ষে পরবর্তী শ্রেণিতে উপনীত হওয়া যাবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, তিনটি বিষয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করতে না পারলে কেউ পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। আমরা বলেছি, দুটি বিষয়ে রিপিট করব, সেটা কিন্তু শিখনকালীন মূল্যায়নের জন্য নয়। সে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে একাদশ শ্রেণির ক্লাসই করবে, একদশের পড়াই পড়বে। শুধু সামষ্টিক মূল্যায়ন যেটা পরবর্তী বছর হবে, সেখানে গিয়ে ওই দুটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। যতদিন পর্যন্ত না সে একাদশ শ্রেণির দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারবে, ততদিন সে দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে পারবে না।
বে চলতি শিক্ষাবর্ষের ছয় মাস পার হয়ে গেলেও এখনো মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে না পারাকে দুর্বলতা বলেছেন শিক্ষাবিদরা। এছাড়া সাত স্কেলে মূল্যায়ন হলে তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে সে ব্যাপারে সন্দিহান তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যারা ভবিষ্যতে গড়ে উঠবে তারা আন্তর্জাতিক নাগরিকে পরিণত হবে। সুতরাং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে তাদের যে মূল্যায়ন পদ্ধতি আছে সেগুলোর সঙ্গে আমাদের এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ না। এমন থাকলে শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাবে তখন ধাক্কা খাবে।
তবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন কারিকুলামের সব দিক সাজানো হয়ে বলে দাবি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের।