ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুজাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারন চেয়ে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ

 শফিক কবীর ষ্ঠাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীর্তি, মিথ্যা মামলায় হয়রানি, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ বেশ কিছু অভিযোগে, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও গুজাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ এর অপসারন চেয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে লিখিত আবেদন করেছে এলাকাবাসী। ১১ সেপ্টেম্বর করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে, চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে ইউনিয়নবাসীর পক্ষে স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনটি প্রদান করেন – মাহবুবুল আলম রনু, মুহাম্মদ মকবুল হোসেন রাসেল ও আবুল হোসেন। লিখিত আবেদনটিতে যা উল্লেখ্য করা হয়- যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এই যে, আময়া ২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের শান্তি প্রিয় জনতার পক্ষে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সমর্থিত ও মনোনীত চেয়াম্যান, গুজাদিয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সৈয়দ মাসুদ কর্তৃক রাজনৈতিক ও দলিয় প্রভাব কাটিয়ে জনসাধারণকে মিথ্যা মামলা ও জোর জবরদস্তি করে হয়রানি করে আসছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গুজাদিয়া আঃ হেকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রপ সদস্য পদে এসে বিদ্যালয়ে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে ৫টি পদে নিয়োগ বানিজ্য/ঘোষ বাণিজ্য করে নিয়োগ প্রদান করেন। এছাড়াও, ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি টিআর কাৰিকা এবং টিসিবি প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীর্তি, কাজ না করে বাজেটের সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জনসাধারণ জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যুসনদ, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে গেলে ১০০০/- টাকার বিনিময়ে সেবা প্রদান করেন। সৈয়দ মাসুদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দে ১০০০ ফুট গভীর নলকূপ ও টয়লেট জনপ্রতি ৮০,০০০/- টাকা বিনিময়ে নলকূপ প্রদান এবং গর্ভবতী মহিলা কার্ডে জনপ্রতি ১০,০০০/- টাকা এবং বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী কার্ডে ৫০০০/- টাকা নিয়ে কার্ড ইস্যু করেন। তিনি সরকারি মাটি কাটা প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে নিজস্ব আত্মীয় স্বজনের নাম্বার মাস্টাররোল ও রেজুলেশন প্রদান করে টাকা উত্তোলন করেন। বিগত ০৪-৮-২০২৪ইং তারিখে ছাত্র সমন্বয় আনন্দোলন মিছিলকে প্রতিহত করার জন্য তার দলবলসহ করিমগঞ্জ আওমীলীগ অফিস সম্মুকে ছাত্র জনতার উপর হামলা করেন, তাহাতে অনেক ছাত্র জনতা আহত হয়। এমতাবস্থায়, মহোদয় আপনার শরণাপন্ন হইলাম যে, ০২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের দুর্নীতিবাজ ক্ষমতা অব্যবহারকারী চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে অপসারণে ২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের শান্তি প্রিয় জনাতার প্রাণের দাবী। অতএব, মহোদয় সমীপে আরজ এই যে, উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে, ২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে অপসারনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে আপনার সদয় মর্জি হয়। জানা যায়, চেয়ারম্যানের অপসারন না-হওয়া পর্যন্ত মানববন্ধন বিক্ষোভ ও প্রশাসনিক কার্যালয় ঘেরাও সহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবে ইউনিয়নবাসী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগসহ ইউপি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে, নিজের গুন্ডা বাহিনী নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর পুর্বক কেন্দ্র দখল করে বিজয়ী প্রার্থীর জয়কে নিজের নামে প্রকাশ করতে দ্বায়িত্বশীলগণকে বাধ্য করে। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় যা এখনো রয়েছে বিচারাধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গুজাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারন চেয়ে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীর্তি, মিথ্যা মামলায় হয়রানি, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ বেশ কিছু অভিযোগে, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও গুজাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ এর অপসারন চেয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে লিখিত আবেদন করেছে এলাকাবাসী। ১১ সেপ্টেম্বর করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে, চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে ইউনিয়নবাসীর পক্ষে স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনটি প্রদান করেন – মাহবুবুল আলম রনু, মুহাম্মদ মকবুল হোসেন রাসেল ও আবুল হোসেন। লিখিত আবেদনটিতে যা উল্লেখ্য করা হয়- যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এই যে, আময়া ২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের শান্তি প্রিয় জনতার পক্ষে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সমর্থিত ও মনোনীত চেয়াম্যান, গুজাদিয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সৈয়দ মাসুদ কর্তৃক রাজনৈতিক ও দলিয় প্রভাব কাটিয়ে জনসাধারণকে মিথ্যা মামলা ও জোর জবরদস্তি করে হয়রানি করে আসছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গুজাদিয়া আঃ হেকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রপ সদস্য পদে এসে বিদ্যালয়ে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে ৫টি পদে নিয়োগ বানিজ্য/ঘোষ বাণিজ্য করে নিয়োগ প্রদান করেন। এছাড়াও, ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি টিআর কাৰিকা এবং টিসিবি প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীর্তি, কাজ না করে বাজেটের সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জনসাধারণ জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যুসনদ, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে গেলে ১০০০/- টাকার বিনিময়ে সেবা প্রদান করেন। সৈয়দ মাসুদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দে ১০০০ ফুট গভীর নলকূপ ও টয়লেট জনপ্রতি ৮০,০০০/- টাকা বিনিময়ে নলকূপ প্রদান এবং গর্ভবতী মহিলা কার্ডে জনপ্রতি ১০,০০০/- টাকা এবং বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী কার্ডে ৫০০০/- টাকা নিয়ে কার্ড ইস্যু করেন। তিনি সরকারি মাটি কাটা প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ না দিয়ে নিজস্ব আত্মীয় স্বজনের নাম্বার মাস্টাররোল ও রেজুলেশন প্রদান করে টাকা উত্তোলন করেন। বিগত ০৪-৮-২০২৪ইং তারিখে ছাত্র সমন্বয় আনন্দোলন মিছিলকে প্রতিহত করার জন্য তার দলবলসহ করিমগঞ্জ আওমীলীগ অফিস সম্মুকে ছাত্র জনতার উপর হামলা করেন, তাহাতে অনেক ছাত্র জনতা আহত হয়। এমতাবস্থায়, মহোদয় আপনার শরণাপন্ন হইলাম যে, ০২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের দুর্নীতিবাজ ক্ষমতা অব্যবহারকারী চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে অপসারণে ২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের শান্তি প্রিয় জনাতার প্রাণের দাবী। অতএব, মহোদয় সমীপে আরজ এই যে, উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে, ২নং গুজাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে অপসারনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে আপনার সদয় মর্জি হয়। জানা যায়, চেয়ারম্যানের অপসারন না-হওয়া পর্যন্ত মানববন্ধন বিক্ষোভ ও প্রশাসনিক কার্যালয় ঘেরাও সহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবে ইউনিয়নবাসী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগসহ ইউপি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে, নিজের গুন্ডা বাহিনী নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর পুর্বক কেন্দ্র দখল করে বিজয়ী প্রার্থীর জয়কে নিজের নামে প্রকাশ করতে দ্বায়িত্বশীলগণকে বাধ্য করে। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় যা এখনো রয়েছে বিচারাধীন।