সংবাদ শিরোনাম ::
অল্প বয়সে বেশি গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজন নেই: শিক্ষামন্ত্রী
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
মাত্র ১৪ বছর বয়সে শিক্ষার্থীদের এত বেশি গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়া উচিত নয়, যাতে তারা শিখনে নিরুৎসাহিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘একটা বিশাল সংখ্যক বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী এসএসসির পরে এইচএসসিতে গিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে আর পড়তে উৎসাহিত হয় না। তাই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে বিজ্ঞান ও গণিত আমাদের শেখা উচিত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আয়োজনে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষায়িত জ্ঞান উচ্চ শিক্ষার পর্যায়ে অবশ্যই নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু যেই পদ্ধতিটা দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিল, তা হলো বিশেষায়িত জ্ঞান বিদ্যালয়গুলোতে দেয়া হচ্ছে। আর উচ্চশিক্ষায় গিয়ে গতানুগতিক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। উচ্চশিক্ষায় বিশেষায়িত জ্ঞান দিতে হবে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে আমাদের শিক্ষার্থীদের এত বেশি গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষা দেয়া উচিত নয় যাতে তারা নিরুৎসাহিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, একটা বিশাল সংখ্যক বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী এসএসসির পরে এইচএসসিতে গিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে উৎসাহিত হয় না। তাই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বিজ্ঞান ও গণিত আমাদের শেখা উচিত।’
শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তনের দিকে গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যকে জ্ঞানে রূপান্তর এবং জ্ঞানকে দক্ষতায় রূপান্তর করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তনটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে একজন শিক্ষার্থী যা শিখছে, ভবিষ্যতে তার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ভবিষ্যতে নতুন যা আসবে তা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে।’
শিক্ষার্থীরা যেন তাদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘(অর্জিত) জ্ঞান যেন তারা জীবনের নানা বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে চিন্তা করতে পারে এবং তাদের যেন ন্যূনতম দক্ষতা থাকে সেই লক্ষ্যে শিক্ষা প্রক্রিয়াকে রূপান্তরের কাজ চলছে। তত্ত্বীয় জ্ঞানের প্রায়োগিক দিকটা শেখালে শিক্ষা আনন্দময় হয়ে ওঠে। এজন্যই শিক্ষাক্রম রূপান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও সেভাবে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।’