অগ্নিসংযোগে অবরুদ্ধ কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক ;আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা
- আপডেট সময় : ১২:১৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং এর যথাযথ সংস্কারের দাবিতে পালন করছে লাগাতার মহাসড়ক অবরোধ, আন্দোলন ও নানা কর্মসূচি। রবিবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১.০০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন রাস্তায় অবরোধের পাশাপাশি ফুটবল খেলতেও দেখা যায়। এসময় বাংলা ব্লকেড (দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ) কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক আটকে ১ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একই দাবি নিয়ে টানা তৃতীয় দিন ও চতুর্থবারের মতো চলমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে। ‘কখনো মহাসড়ক অবরোধ কখনোবা শিক্ষার্থীদের সুবিশাল পদযাত্রা’ আন্দোলনের ধরন যেমনই হোক কোটা সংস্কারের অভিন্ন দাবিতে এক ছাতার নিচে এসব শিক্ষার্থী।
কারণ হিসেবে ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে ৫৬ শতাংশ, ১ম ও ২য় শ্রেণী নন ক্যাডার জবে ৬১ শতাংশ কিংবা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৯৬ শতাংশ কোটা বিরাজমান’ এতে প্রকৃত মেধা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপী এই অবরুদ্ধ মহাসড়কে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘আমরা পড়ার টেবিলে বসতে চাই, রাস্তায় না’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’ এসব স্লোগানে মহাসড়ক প্রাঙ্গন মাতিয়ে রাখেন।
এছাড়াও কোটা বৈষম্যের সংস্কার, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগ এর জোড়ালো দাবি আসে সকল এর মধ্য থেকে। এদিকে দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ার দেন এসব শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্যে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাওয়ানা শামিম বলেন, আমি নারী হয়ে অনগ্রসর নই তাহলে ঐসব গুষ্টি কেমনে বলে তারা এখনো অনগ্রসর। অনগ্রসর বলতে বুঝায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা মূল স্রোতের বাইরে থাকে। আমরা তাদেরকে স্পেশাল সুবিধা দিয়ে থাকি। মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি নাতনিরা এখনো একিভূত হয়নি তা কিভাবে সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছে। আমরা একই শিক্ষকের কাছে পড়ি, একই রাইটারের বই পড়ি তাহলে এখানে বৈষম্যের বিষয়টা আসতেছে কিভাবে? আমাদের যে বন্ধুটার মা-বাবা কৃষক, শ্রমিক, দিন মজুর তারা কি অনগ্রসর গোষ্ঠী নয়? আমাকে নারী কোটা দেয়া হচ্ছে অনগ্রসর হিসেবে কিন্তু আমি এমন বৈষম্য চাই না।
এবিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ছাত্র ইউনিয়ন ইবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুইট বলেন, আমরা মূলত এই কোটার সংস্কার চাই। আমাদের একটি মূল বক্তব্য কোটা বাতিল না করে একটা যৌক্তিক সংস্কার।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যারা এসব দেখভাল করছে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী এবং শিক্ষার্থীসহ সবাই বসে একটি সুষ্ঠু সমাধান করে কোটার এই ভয়ানক ধাবা থেকে আমাদের পরিত্রাণ করুক