অবরুদ্ধ মহাসড়ক যেন ইবি শিক্ষার্থীদের নাটক মঞ্চ
- আপডেট সময় : ০১:২২:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্য প্রত্যাহারের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারীদের নাটক ও কবিতা আবৃত্তি করতে দেখা যায়।
সোমবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বটতলায় একত্রিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এসময় কুষ্টিয়া-খুলনা রুটে চলাচলকারী যানবাহন আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে প্রায় ১১০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আজকের কর্মসূচি হিসেবে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেন ইবি শিক্ষার্থীরা। এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সব ধরনের অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনে নাহিদ হাসান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সবসময় সম্মান প্রদর্শন করি। দেশের যেকোনো সেবা নিতে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথমে ঠেলে দেই। আমরা বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান রেখেই এই আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরা চাই অনগ্রসর যারা আছে তাদের কোটা রেখে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা হোক। চাকরির ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনোই ছাড় দিবো না। আমাদের এই দাবিকে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং কোটা ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে।
এছাড়াও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইতি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দেখতেছি বিভিন্ন ইস্যু দিয়ে ইস্যু ঢাকার চেষ্টা করতে দেখছি। বিভিন্নভাবে কোটা আন্দোলনকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। দরকার হয় রাজপথে বসে পড়াশোনা করবো কিন্তু রাজপথ ছেড়ে যাবো না আমরা। আমাদের এক দফা এক দাবি, ‘কোটা নট কাম ব্যাক’।
আজ টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার এবং আজকে বিকেল ৪ টা থেকে কুষ্টিয়া-খুলনা সড়ক অবরোধ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।