কিশোররা মোবাইলে আসক্ত,বাড়ছে সামাজিক অপরাধ
- আপডেট সময় : ০৬:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ১১৮ বার পড়া হয়েছে
বর্তমানে কিশোররা মোবাইলে আসক্ত থাকার কারণে বাড়ছে সামাজিক অপরাধ এ বিষয়ের নেই কোন প্রতিকার। আগের মতো এখন আর সন্ধ্যার পর এক জনের পড়া শুনে আরেকজন পাল্লা দিয়ে বই পড়ে না, কোন মা-বাবা তার সন্তানকেও বলে না যে অমুক ছেলে মেয়ে পড়ছে তুই বসে আছিস কেন? অথচ ৮/১০ বছর আগেও সন্ধ্যার পর চারপাশ থেকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে বই পড়ার আওয়াজ শোনা যেত,
পরীক্ষা কাছাকাছি থাকলে তো কথাই নেই কোন সহপাঠী বন্ধু দিনে ও রাতে কতক্ষণ পড়ালেখা করে গোপনে খোঁজ নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা হতো, সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটিও রাত-দিন পড়তো যে ,কোন বোর্ড পরীক্ষার আগে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ার চর্চাটাও আর নেই। এ চর্চাটার জন্যই অ্যালার্ম ঘড়ির আলাদা একটা কদর ছিল, বিকেল বেলা প্রত্যের বাড়ি থেকে গান, নাচ বা তবলার সুর ভেসে আাসতো, আগের বছর পাশ করা ভাই বোনদের কাছে সাজেশনস নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ চলতো, তাদের পুরনো বই সংগ্রহ করে চলত পড়াশোনা, মাত্র ৮/১০ বছরের ব্যবধানে সবই প্রায় বিলীন হয়ে গেল, সন্ধ্যার পর ছাত্র-ছাত্রীদের বাজারে তো দূরের কথা ঘরের বাইরে দেখলেই সবাই অবাক হতো, শাসন করতো আর এখন বাড়ী গেলে দেখি অনেক রাত পর্যন্ত ছেলেরা বাজারে আড্ডা দিচ্ছে, কেউ কিছু বলছে না সন্ধ্যার পর এখন দল বেঁধে নামধারী ছাত্ররা মোবাইলে ব্যস্ত থাকে, কোথাও কোন পড়ার শব্দ নেই, গ্রুপ চ্যাটিং, অনলাইন/অফলাইন গেমস, পাব্জি, ফ্রী ফায়ার, টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব, চুলের বিভিন্ন স্টাইল কার্টিং করে পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে আড্ডাবাজি, গ্রুপিং করা, এগুলোই এখন তাদের পছন্দের তালিকা,এসব দেখেই তারা নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। মোবাইল আসক্তি থেকে কিশোরদের দূরে রাখতে অভিভাবকদের সচেতনতার পাশাপাশি সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে,তা নাহলে এ সমস্ত কিশোররা ই একদিন সমাজের আতংক হয়ে দাঁড়াবে। আসুন আমরা সবাই মিলে নিজের সন্তান,সমাজ ও দেশের স্বার্থে মোবাইল আসক্তির অপকারিতা তুলে ধরে জন-সচেতনতা তৈরী করি এবং আমাদের সন্তানদের বিপদ থেকে রক্ষা করি।