ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলনবিলে বর্ষার পানি বাড়ায়  কদর বেড়েছে ডিঙিনৌকার

( নাটোর)প্রতিনধি
  • আপডেট সময় : ১১:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলনবিল অঞ্চলে বর্ষার পানি বাড়ায় কদর বাড়ছে ডিঙি নৌকার। বর্ষায় চলনবিল ও তার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীনালাগুলো পানিতে থইথই করে। এ সময় ডিঙিনৌকাকে উপজীব্য করে মাছ ধরা, মানুষ ও মালামাল পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ কারণে বর্ষাকালে ডিঙিনৌকা তৈরি ও বিক্রির মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় হাটে গড়ে উঠেছে কমপক্ষে ২০টি কারখানা। সেখানে তৈরি হচ্ছে ছোট–বড় নৌকা।

শনিবার চাঁচকৈড় হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কারখানায় চার থেকে পাঁচজন কারিগর নৌকা তৈরি করছেন। চাহিদা বেশি থাকায় দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁদের। কারখানায় তৈরি করা এসব নৌকা সড়কের দুই পাশে রাখা হয়েছে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য। দেখেশুনে চাহিদামতো নৌকা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

 

আকার-আকৃতিভেদে প্রতিটি ডিঙিনৌকা ৩ হাজার ২০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার প্রতিটি নৌকা দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

নৌকার দাম বাড়ার কারণ নিয়ে কারখানামালিক ইয়ারুল ইসলাম ও সাইদুল হক বলেন কাঠ-লোহা ও কারিগরের মজুরি বেড়েছে। এগুলো সমন্বয় করতে নৌকার দাম বেড়েছে। এ বছর বৃষ্টি-বন্যার আশঙ্কা বেশি। ক্রেতার চাহিদাও বেশি। চাহিদার তুলনায় নৌকা কম বানানো হয়, দামও বেড়ে যায় তাতে।

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মির্জাপুর থেকে আমিরুল ইসলাম আশা বলেন, চলনবিলের নিচু এলাকায় পানি থইথই করছে। কিছুদিনের মধ্যে পানিতে টইটম্বুর করবে চলনবিল। এ সময় এলাকায় কাজ থাকে না। মাছ ধরে সংসার চালাতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে ডিঙিনৌকা কিনতে এসেছেন তিনি।

চাঁচকৈড় হাট ঘুড়ে জানা জায় নাটোর সিরাজগঞ্জ পাবনা চলন বিলের অংশ চাঁচকৈড় চলনবিলের প্রান কেন্দ্র হাট। তাই এখানে ডিঙি নৌকা তৈরি যেমন হয় তেমনি বেঁচা কেনা বেশি হয়। এই হাট বসে প্রতি শনি মঙ্গলবার। প্রতি হাটে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ ডিঙিনৌকা বিক্রয় হয়। বর্ষার পানি যত বাড়বে ডিঙি নৌকা ততো বিক্রয় হবে। তাই চাঁচকৈড় হাটকে ডিঙি নৌকার জন্য চলনবিলের মধ্য বিখ্য্যাত বলা হয়ে থাকে।৬-৭-২০২৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চলনবিলে বর্ষার পানি বাড়ায়  কদর বেড়েছে ডিঙিনৌকার

আপডেট সময় : ১১:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

চলনবিল অঞ্চলে বর্ষার পানি বাড়ায় কদর বাড়ছে ডিঙি নৌকার। বর্ষায় চলনবিল ও তার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীনালাগুলো পানিতে থইথই করে। এ সময় ডিঙিনৌকাকে উপজীব্য করে মাছ ধরা, মানুষ ও মালামাল পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ কারণে বর্ষাকালে ডিঙিনৌকা তৈরি ও বিক্রির মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় হাটে গড়ে উঠেছে কমপক্ষে ২০টি কারখানা। সেখানে তৈরি হচ্ছে ছোট–বড় নৌকা।

শনিবার চাঁচকৈড় হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কারখানায় চার থেকে পাঁচজন কারিগর নৌকা তৈরি করছেন। চাহিদা বেশি থাকায় দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁদের। কারখানায় তৈরি করা এসব নৌকা সড়কের দুই পাশে রাখা হয়েছে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য। দেখেশুনে চাহিদামতো নৌকা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

 

আকার-আকৃতিভেদে প্রতিটি ডিঙিনৌকা ৩ হাজার ২০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার প্রতিটি নৌকা দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

নৌকার দাম বাড়ার কারণ নিয়ে কারখানামালিক ইয়ারুল ইসলাম ও সাইদুল হক বলেন কাঠ-লোহা ও কারিগরের মজুরি বেড়েছে। এগুলো সমন্বয় করতে নৌকার দাম বেড়েছে। এ বছর বৃষ্টি-বন্যার আশঙ্কা বেশি। ক্রেতার চাহিদাও বেশি। চাহিদার তুলনায় নৌকা কম বানানো হয়, দামও বেড়ে যায় তাতে।

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মির্জাপুর থেকে আমিরুল ইসলাম আশা বলেন, চলনবিলের নিচু এলাকায় পানি থইথই করছে। কিছুদিনের মধ্যে পানিতে টইটম্বুর করবে চলনবিল। এ সময় এলাকায় কাজ থাকে না। মাছ ধরে সংসার চালাতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে ডিঙিনৌকা কিনতে এসেছেন তিনি।

চাঁচকৈড় হাট ঘুড়ে জানা জায় নাটোর সিরাজগঞ্জ পাবনা চলন বিলের অংশ চাঁচকৈড় চলনবিলের প্রান কেন্দ্র হাট। তাই এখানে ডিঙি নৌকা তৈরি যেমন হয় তেমনি বেঁচা কেনা বেশি হয়। এই হাট বসে প্রতি শনি মঙ্গলবার। প্রতি হাটে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ ডিঙিনৌকা বিক্রয় হয়। বর্ষার পানি যত বাড়বে ডিঙি নৌকা ততো বিক্রয় হবে। তাই চাঁচকৈড় হাটকে ডিঙি নৌকার জন্য চলনবিলের মধ্য বিখ্য্যাত বলা হয়ে থাকে।৬-৭-২০২৪