ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাবিতে ইমাম নিয়োগে অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় স্মারকলিপি প্রদান

শহিদুল্লাহ মনসুর
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪ ২০৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আ ফ ম কামালউদ্দীন হল ও সালাম-বরকত হল সংলগ্ন মসজিদের ইমাম পদে নিয়োগে অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে দুই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। একইসাথে উপ-উপাচার্য, প্রাধ্যক্ষ বরাবরও স্মারকলিপি দেন তারা।

বুধবার (৩ জুলাই) উপাচার্যের নিজ কার্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে এ স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে গত ৩০শে জুন, ২০২৪ তারিখে কামালউদ্দীন হল ও সালাম-বরকত হল সংলগ্ন মসজিদের ইমাম পদে নিয়োগের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জেনে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলাম। আমরা আশান্বিত ছিলাম একজন যোগ্য, অভিজ্ঞ আলেমকে আমরা ইমাম হিসেবে পাবো। ইসলামের সুমহান ও শ্বাশত বাণী সাধারণ মুসলমানদের কাছে পৌঁছে দিতে একজন যোগ্য ইমামের বিকল্প নেই।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গত ১লা জুলাই, ২০২৪ তারিখ রাত ১০টা ০৮ মিনিটে গণমাধ্যমে প্রকাশিত “জাবিতে ইমাম নিয়োগে ছাত্রলীগের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদ আমাদেরকে আশাহত করেছে। এ সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি সাক্ষাৎকার শুরু আগ মূহুর্তে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির কতিপয় নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজের কক্ষে প্রবেশ করে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকারী নেতাকর্মীদের মধ্যে কামালউদ্দীন হলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতাও উপস্থিত ছিলেন, যার সহোদর ভাই উক্ত ইমাম পদে প্রার্থী ছিলেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য সাক্ষাৎকার প্রার্থীদের মত আমরা সাধারন শিক্ষার্থীরাও আশঙ্কা করছি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাকর্মীর এ সাক্ষাৎ সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে। যা একজন যোগ্য ইমাম নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

স্মারকলিপি আরও উল্লেখ করে বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা কোন অনৈতিক প্রভাব সৃষ্টিকারী হিসেবে প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিকে নিয়োগ না দেয়ার জন্য এ নিয়োগের বিষয়ে দায়িত্বশীল হিসেবে আপনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি কোন প্রশ্নবিদ্ধ প্রার্থীকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে আমরা সাধারন শিক্ষার্থীগণ তাঁকে নামাজ, জুমাসহ সর্বাত্মকভাবে বর্জন করার জন্য বদ্ধ পরিকর থাকবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “জাবিতে ইমাম নিয়োগে অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় স্মারকলিপি প্রদান

  1. আমার জানামতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিয়োগও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে হয় না, প্রায় প্রত্যেকটি নিয়োগেই সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান,বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান, বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জাবিতে ইমাম নিয়োগে অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আ ফ ম কামালউদ্দীন হল ও সালাম-বরকত হল সংলগ্ন মসজিদের ইমাম পদে নিয়োগে অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে দুই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। একইসাথে উপ-উপাচার্য, প্রাধ্যক্ষ বরাবরও স্মারকলিপি দেন তারা।

বুধবার (৩ জুলাই) উপাচার্যের নিজ কার্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে এ স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে গত ৩০শে জুন, ২০২৪ তারিখে কামালউদ্দীন হল ও সালাম-বরকত হল সংলগ্ন মসজিদের ইমাম পদে নিয়োগের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জেনে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলাম। আমরা আশান্বিত ছিলাম একজন যোগ্য, অভিজ্ঞ আলেমকে আমরা ইমাম হিসেবে পাবো। ইসলামের সুমহান ও শ্বাশত বাণী সাধারণ মুসলমানদের কাছে পৌঁছে দিতে একজন যোগ্য ইমামের বিকল্প নেই।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গত ১লা জুলাই, ২০২৪ তারিখ রাত ১০টা ০৮ মিনিটে গণমাধ্যমে প্রকাশিত “জাবিতে ইমাম নিয়োগে ছাত্রলীগের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদ আমাদেরকে আশাহত করেছে। এ সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি সাক্ষাৎকার শুরু আগ মূহুর্তে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির কতিপয় নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজের কক্ষে প্রবেশ করে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকারী নেতাকর্মীদের মধ্যে কামালউদ্দীন হলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতাও উপস্থিত ছিলেন, যার সহোদর ভাই উক্ত ইমাম পদে প্রার্থী ছিলেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য সাক্ষাৎকার প্রার্থীদের মত আমরা সাধারন শিক্ষার্থীরাও আশঙ্কা করছি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাকর্মীর এ সাক্ষাৎ সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে। যা একজন যোগ্য ইমাম নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

স্মারকলিপি আরও উল্লেখ করে বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা কোন অনৈতিক প্রভাব সৃষ্টিকারী হিসেবে প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিকে নিয়োগ না দেয়ার জন্য এ নিয়োগের বিষয়ে দায়িত্বশীল হিসেবে আপনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি কোন প্রশ্নবিদ্ধ প্রার্থীকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে আমরা সাধারন শিক্ষার্থীগণ তাঁকে নামাজ, জুমাসহ সর্বাত্মকভাবে বর্জন করার জন্য বদ্ধ পরিকর থাকবো।