জাবিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
- আপডেট সময় : ০২:১২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ১৭০ বার পড়া হয়েছে
জাবি প্রতিনিধি।
কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে প্রত্যাখ্যান করে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে থেকে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এসময় তাদেরকে ‘লাখো শহিদের বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁয় নাই’ ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছেসহ’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকটা মানুষের সামাজিক ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য চাকরি প্রয়োজন। আর সেই চাকরির নিশ্চয়তা রাষ্ট্র আমাদের দেবে। তাই আজ থেকে আমি যেমন বেকারত্বের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবো। আরেকদিকে এই বৈষম্য বিরোধী কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলব।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরণ এহসান বলেন, সংবিধানে বলা আছে শুধু মাত্র অনগ্রসর, আদিবাসী, কিংবা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যই কোটা থাকবে। সংবিধানে অন্য কোনো কোটার উল্লেখ নেই। বাঙালি যুদ্ধ করেছে বৈষম্য রোধের জন্য। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পরও বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট সবসময় ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে।
উদ্ভিদবিজ্ঞান ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, কোটা রাখা হয় শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য। তাছাড়া আমাদের সংবিধানের ১৯ তম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সুযোগের সমতা’। কিন্তু এই সাম্য বিনষ্ট হচ্ছে হাইকোর্টের কোটা পুনর্বহাল সিদ্ধান্তের কারণে। সুতরাং আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, মেধার উপর গুরুত্ব আরোপ এবং শুধু সুবিধাবঞ্চিত জনগণের কথা বিবেচনা করেই কোটা সংস্কার করা উচিত।
সমাপনী বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, ‘আগামী ৪ তারিখ আপিল বিভাগে শুনানি আছে। সেখান থেকে যদি ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে যদি রায় আসে তাহলে এদেশে একটি গাড়িও চলতে দেওয়া হবে না। বুধবার ঢাকা—আরিচা মহাসড়ক দুই ঘণ্টার জন্য অবরোধ করব।