ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টি.আর প্রকল্পের ২০,৫৪০ টাকার হিসাব জানেন না প্রকল্প সভাপতি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের টি.আর প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের লায়লা বাজার এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে এই অনিয়মের সত্যতা

মিলেছে। লায়লা পাকা রাস্তা থেকে বুরুজ আলী মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত মেটো রাস্তা মেরামতের জন্য বরাদ্দ ছিলো ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪০ টাকা । কিন্তু প্রকল্প এলাকায় গিয়ে সম্প্রতি মাটি ভরাট কিংবা সংস্কার হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ মিলেনি

রাস্তাটিতে। এমনকি কয়েক জায়গায় কাদা ও ভাঙা অংশও দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, এখানকার ইউপি সদস্য প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা অনেক কিছুই বলতে পারি না। নামমাত্র মাটি ফেলা হয়েছিলো এই রাস্তায়।

এ ব্যাপারে মুশুলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন- ‘আমি ঠিকভাবেই কাজ করেছি৷ এখন বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।’ এমনকি সঠিকভাবে কাজ হয়েছে দাবি করে তিনি

সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করেন। পরে কাগজ দেখিয়ে বলা হয় বরাদ্দ ছিলো ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪০ টাকা। এই পরিমাণ কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রত্যুত্তরে মেম্বার সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি ৯৭ হাজার টাকা পেয়েছেন৷ এবং সে মোতাবেক

কাজও করেছেন।

বাকি ২০ হাজার ৫৪০ টাকা কোথায় গেলো জিজ্ঞেস করলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রি খাতা যাচাই করে বলেন- এই প্রকল্পের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তবে পূর্ববর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপের কাছে তিনি

নিরুপায় ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টি.আর প্রকল্পের ২০,৫৪০ টাকার হিসাব জানেন না প্রকল্প সভাপতি!

আপডেট সময় : ০৬:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের টি.আর প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের লায়লা বাজার এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে এই অনিয়মের সত্যতা

মিলেছে। লায়লা পাকা রাস্তা থেকে বুরুজ আলী মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত মেটো রাস্তা মেরামতের জন্য বরাদ্দ ছিলো ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪০ টাকা । কিন্তু প্রকল্প এলাকায় গিয়ে সম্প্রতি মাটি ভরাট কিংবা সংস্কার হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ মিলেনি

রাস্তাটিতে। এমনকি কয়েক জায়গায় কাদা ও ভাঙা অংশও দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, এখানকার ইউপি সদস্য প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা অনেক কিছুই বলতে পারি না। নামমাত্র মাটি ফেলা হয়েছিলো এই রাস্তায়।

এ ব্যাপারে মুশুলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন- ‘আমি ঠিকভাবেই কাজ করেছি৷ এখন বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।’ এমনকি সঠিকভাবে কাজ হয়েছে দাবি করে তিনি

সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করেন। পরে কাগজ দেখিয়ে বলা হয় বরাদ্দ ছিলো ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪০ টাকা। এই পরিমাণ কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রত্যুত্তরে মেম্বার সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি ৯৭ হাজার টাকা পেয়েছেন৷ এবং সে মোতাবেক

কাজও করেছেন।

বাকি ২০ হাজার ৫৪০ টাকা কোথায় গেলো জিজ্ঞেস করলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রি খাতা যাচাই করে বলেন- এই প্রকল্পের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তবে পূর্ববর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপের কাছে তিনি

নিরুপায় ছিলেন।