ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বাংলা ব্লকডের দ্বিতীয় দিনে জাবি শিক্ষার্থীরা: সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ

জাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটাব্যবস্থা সংস্করণ ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর তিনটা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনে চলছে এ কর্মসূচী। অবরোধ চলবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।
শুরুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা অবরোধ করতে গেলে হাইওয়ে পুলিশ ও আশুলিয়া থানার পুলিশ যৌথভাবে তাদেরকে বাঁধা দেন এবং জরুরি গাড়ির জন্য একটি ইমার্জেন্সি লেন রাখতে বলেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের শর্ত মেনে নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কে.এম. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবি কোটা বাতিলের নয় কোটা সংস্কারের। কোটা প্রথা হচ্ছে মূলত পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য। যেখানে ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্মর জন্য ৩০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সেখানে মাত্র ১ শতাংশ। এর মানে কি? আমাদের ভাষা স্পষ্ট। আমরা আমাদের এই ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবে। প্রয়োজন হলে প্রতিটি রাস্তাঘাঠ অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে।

 

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন কোনো অযৌক্তিক আন্দোলন নয়। এটা একটি যৌক্তিক আন্দোলন। আপনারা জানেন গতকাল বিপিএসসির বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে সকল প্রকার অন্যায়, অনিয়ম ও বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে হবে এবং যতদিন না এসকল দাবি পূরণ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

 

এদিকে অবরোধ চলাকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুপাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হলে এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। তবে এসময় বেশ কয়েকটি রোগী বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। বগুড়া থেকে আসা বাস যাত্রী আকাশ বলেন, এরা যে আন্দোলন করছেন তা তো যৌক্তিক আন্দোলন। আমরা দেখি যে কোটা প্রথার ফলে বিভিন্ন সময় মেধাবীরা তাদের প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যাতায়াতে ভোগান্তি নিয়ে তিনি বলেন, এই ভোগান্তি সামান্য কারণ এটি একটি জাতীয় আন্দোলন। তাই সাময়িক ভাবে এটা মেনে নিতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত চার জুলাই আপিল বিভাগ কোটা প্রথা বহাল রাখার ফলে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড ‘ নামে সারা বাংলাদেশে মহাসড়ক অবরোধ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘বাংলা ব্লকডের দ্বিতীয় দিনে জাবি শিক্ষার্থীরা: সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

কোটাব্যবস্থা সংস্করণ ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর তিনটা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনে চলছে এ কর্মসূচী। অবরোধ চলবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।
শুরুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা অবরোধ করতে গেলে হাইওয়ে পুলিশ ও আশুলিয়া থানার পুলিশ যৌথভাবে তাদেরকে বাঁধা দেন এবং জরুরি গাড়ির জন্য একটি ইমার্জেন্সি লেন রাখতে বলেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের শর্ত মেনে নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কে.এম. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবি কোটা বাতিলের নয় কোটা সংস্কারের। কোটা প্রথা হচ্ছে মূলত পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য। যেখানে ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্মর জন্য ৩০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সেখানে মাত্র ১ শতাংশ। এর মানে কি? আমাদের ভাষা স্পষ্ট। আমরা আমাদের এই ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবে। প্রয়োজন হলে প্রতিটি রাস্তাঘাঠ অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে।

 

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন কোনো অযৌক্তিক আন্দোলন নয়। এটা একটি যৌক্তিক আন্দোলন। আপনারা জানেন গতকাল বিপিএসসির বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে সকল প্রকার অন্যায়, অনিয়ম ও বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে হবে এবং যতদিন না এসকল দাবি পূরণ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

 

এদিকে অবরোধ চলাকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুপাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হলে এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। তবে এসময় বেশ কয়েকটি রোগী বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। বগুড়া থেকে আসা বাস যাত্রী আকাশ বলেন, এরা যে আন্দোলন করছেন তা তো যৌক্তিক আন্দোলন। আমরা দেখি যে কোটা প্রথার ফলে বিভিন্ন সময় মেধাবীরা তাদের প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যাতায়াতে ভোগান্তি নিয়ে তিনি বলেন, এই ভোগান্তি সামান্য কারণ এটি একটি জাতীয় আন্দোলন। তাই সাময়িক ভাবে এটা মেনে নিতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত চার জুলাই আপিল বিভাগ কোটা প্রথা বহাল রাখার ফলে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড ‘ নামে সারা বাংলাদেশে মহাসড়ক অবরোধ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।