ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় তরুণকে হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ গ্রেপ্তার

মাগুরা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাগুরায় তীর্থ রুদ্র (১৮) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে নিহত ব্যক্তির ব্যবহৃত মুঠোফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি এবং এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার তায়হান হোসেন (২১) নামের ওই ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তায়হান হোসেন শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, তায়হানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁর বাসা থেকে নিহত তরুণের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চাবি ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। পরে পৌরসভার কাশিনাথপুর এলাকায় অভিযুক্তের খালার বাড়ি থেকে নিহত তীর্থ রুদ্রর মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট খুলে শহরের মোল্লা পাড়া এলাকায় একটি দোকানের ওপরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের ধারণা, এই ছেলেটিই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। এ ঘটনা কেন ঘটেছে বা আরও কেউ এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
থানা-পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আল আমীন ট্রাস্ট মাদ্রাসাসংলগ্ন একটি পুকুরপাড় থেকে তীর্থ রুদ্রর (১৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি পৌরসভার নান্দুয়ালী পশ্চিম পাড়া এলাকার নিমাই চন্দ্র রুদ্রর ছেলে। তীর্থ রুদ্রর পরিবার শহরের পুরোনো বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত। তীর্থ রুদ্র এবার মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সোমবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে তীর্থ একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে তিনি বাসায় ফেরেননি। পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে হত্যায় জড়িতদের পাশাপাশি রুদ্রর মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন খুঁজছিল পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাগুরায় তরুণকে হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

মাগুরায় তীর্থ রুদ্র (১৮) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে নিহত ব্যক্তির ব্যবহৃত মুঠোফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি এবং এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার তায়হান হোসেন (২১) নামের ওই ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তায়হান হোসেন শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, তায়হানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁর বাসা থেকে নিহত তরুণের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চাবি ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। পরে পৌরসভার কাশিনাথপুর এলাকায় অভিযুক্তের খালার বাড়ি থেকে নিহত তীর্থ রুদ্রর মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট খুলে শহরের মোল্লা পাড়া এলাকায় একটি দোকানের ওপরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের ধারণা, এই ছেলেটিই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। এ ঘটনা কেন ঘটেছে বা আরও কেউ এর সঙ্গে জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
থানা-পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আল আমীন ট্রাস্ট মাদ্রাসাসংলগ্ন একটি পুকুরপাড় থেকে তীর্থ রুদ্রর (১৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি পৌরসভার নান্দুয়ালী পশ্চিম পাড়া এলাকার নিমাই চন্দ্র রুদ্রর ছেলে। তীর্থ রুদ্রর পরিবার শহরের পুরোনো বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত। তীর্থ রুদ্র এবার মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সোমবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে তীর্থ একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে তিনি বাসায় ফেরেননি। পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে হত্যায় জড়িতদের পাশাপাশি রুদ্রর মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন খুঁজছিল পুলিশ।