ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নান্দাইলে সাত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার।। মনোহরদীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান নরসিংদীতে ব্র্যাকের “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত সততা চর্চার অভ্যাস গড়তে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ফুলপুর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নয়া কমিটি গঠন সভাপতি মাওঃ আবু রায়হান, সম্পাদক মাওঃ আওলাদ রাজশাহীতে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতাদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনে দর্শনার্থীদের সুবিদায় নদী খনন রায়পুরায় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মনবাড়িয়া অনার্সের কেন্দ্র স্থানান্তরের দাবীতে মানব বন্ধন মনোহরদী টু কটিয়াদী সংযোগ রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাতায়াতকারীরা।

রাজশাহীর তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আটক বাণিজ্যে শীর্ষে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যখন সারাদেশ ব্যাপী পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে ঠিক সে সময়ে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে চলছে আটক বানিজ্যসহ ফিটিং মামলা দেওয়ার মহাউৎসব। তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এস আই সোহাইল রানা এমন কান্ড করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

গত ১৮ জুন দিবাগত রাত ১৯ জুন রাত ১২:১৫ ঘটিকায় নিষিদ্ধ মাদক গাঁজার গাছ উদ্ধার পূর্বক আজাদ আলী প্রমানিক নামে এক ব্যক্তিকে মামলা দেওয়া হয়। আজাদ আলী তাহেরপুর পৌরসভার বিষুপাড়া গ্রামের মৃত অফির উদ্দিনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, গাঁজার গাছ উদ্ধার হয় অন্য জায়গায় আর মামলা দেওয়া হয় আজাদ আলীর বিরুদ্ধে। এর আগে আজাদ আলীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিলো না। এলাকাবাসীর কেউ জানে না তিনি মাদক সেবন বা বিক্রি করেন। ভ্যানচালক আজাদ নিজে ভ্যান চালিয়ে তাঁর সংসার পরিচালনা করেন। ওই মামলার দুই স্বাক্ষী জানায়, আমরা জানি না গাছ কোথায় থেকে পুলিশ নিয়ে এসেছে। সেটা আদৌও গাঁজার গাছ কি না তা নিশ্চিত না। বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে এসে তাঁদের একটি ১০০ গ্রাম ওজনের খুবই ছোট্ট একটি গাছ দেখায় পুলিশ। পরে জানতে পারি আজাদ আলীকে দুটি গাছ (যার ওজন ১ কেজি ৬০০ গ্রাম) দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, তাহেরপুর পৌরসভার জগন্নাথপুরে হাবিবুরের পানের বরজ থেকে একটি বড় গাঁজার গাছ উদ্ধার করেন এস আই সোহাইল রানা ও তাঁর টিম। যদিও এস আই সোহাইল রানা ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাস্থলেই হাবিবুরকে ছেড়ে দেন। ওই গাছ দিয়ে মামলা দেওয়া হয় ভ্যান চালক আজাদ আলীকে। কারণ আজাদ আলীর নিকট এস আই সোহাইল রানা ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলো তা তিনি দিতে পারেননি।

অপর আরেক ঘটনায় গত ২৬-৪-২৪ ইং তারিখে হওয়া বাগমারা থানার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের মাদক মামলায় দুজনকে সহযোগী আসামী করা হয়। (বাগমারা থানার মামলা নং ৪৬/২০২৪) তাঁরা ওই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়। সহযোগী দুই আসামী হলেন, বাগমারা উপজেলার কামারবাড়ি এলাকার মৃত জব্বার প্রামানিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৩) ও বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের গাঙ্গোপাড়া এলাকার বিরাজ প্রামানিকের ছেলে শারুক (২৪)। সহযোগী মামলার আসামীরা জানায় আমাদেরকে ওই ঘটনাস্থলের অনেক দূর থেকে ধরে নিয়ে আসেন। এছাড়াও ওই মামলায় আসামী করা হবে মর্মে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন এস আই সোহাইল রানা। ৪০ হাজার টাকা দিলেও তাদেরকে ওই মাদক মামলার সহযোগী আসামী করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সোহাইল রানা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখানে আটক বানিজ্য বা ফিটিং মামলা দেওয়া হয়নি।

কথা বললে বাগমারা থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ অরবৃন্দ সরকার বলেন, আটক বা ফিটিং মামলার কোনো সুযোগ নাই। তবে কেউ যদি এমন অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজশাহীর তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আটক বাণিজ্যে শীর্ষে

আপডেট সময় : ১০:০০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

যখন সারাদেশ ব্যাপী পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে ঠিক সে সময়ে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে চলছে আটক বানিজ্যসহ ফিটিং মামলা দেওয়ার মহাউৎসব। তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এস আই সোহাইল রানা এমন কান্ড করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

গত ১৮ জুন দিবাগত রাত ১৯ জুন রাত ১২:১৫ ঘটিকায় নিষিদ্ধ মাদক গাঁজার গাছ উদ্ধার পূর্বক আজাদ আলী প্রমানিক নামে এক ব্যক্তিকে মামলা দেওয়া হয়। আজাদ আলী তাহেরপুর পৌরসভার বিষুপাড়া গ্রামের মৃত অফির উদ্দিনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, গাঁজার গাছ উদ্ধার হয় অন্য জায়গায় আর মামলা দেওয়া হয় আজাদ আলীর বিরুদ্ধে। এর আগে আজাদ আলীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিলো না। এলাকাবাসীর কেউ জানে না তিনি মাদক সেবন বা বিক্রি করেন। ভ্যানচালক আজাদ নিজে ভ্যান চালিয়ে তাঁর সংসার পরিচালনা করেন। ওই মামলার দুই স্বাক্ষী জানায়, আমরা জানি না গাছ কোথায় থেকে পুলিশ নিয়ে এসেছে। সেটা আদৌও গাঁজার গাছ কি না তা নিশ্চিত না। বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে এসে তাঁদের একটি ১০০ গ্রাম ওজনের খুবই ছোট্ট একটি গাছ দেখায় পুলিশ। পরে জানতে পারি আজাদ আলীকে দুটি গাছ (যার ওজন ১ কেজি ৬০০ গ্রাম) দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, তাহেরপুর পৌরসভার জগন্নাথপুরে হাবিবুরের পানের বরজ থেকে একটি বড় গাঁজার গাছ উদ্ধার করেন এস আই সোহাইল রানা ও তাঁর টিম। যদিও এস আই সোহাইল রানা ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাস্থলেই হাবিবুরকে ছেড়ে দেন। ওই গাছ দিয়ে মামলা দেওয়া হয় ভ্যান চালক আজাদ আলীকে। কারণ আজাদ আলীর নিকট এস আই সোহাইল রানা ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলো তা তিনি দিতে পারেননি।

অপর আরেক ঘটনায় গত ২৬-৪-২৪ ইং তারিখে হওয়া বাগমারা থানার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের মাদক মামলায় দুজনকে সহযোগী আসামী করা হয়। (বাগমারা থানার মামলা নং ৪৬/২০২৪) তাঁরা ওই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়। সহযোগী দুই আসামী হলেন, বাগমারা উপজেলার কামারবাড়ি এলাকার মৃত জব্বার প্রামানিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৩) ও বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের গাঙ্গোপাড়া এলাকার বিরাজ প্রামানিকের ছেলে শারুক (২৪)। সহযোগী মামলার আসামীরা জানায় আমাদেরকে ওই ঘটনাস্থলের অনেক দূর থেকে ধরে নিয়ে আসেন। এছাড়াও ওই মামলায় আসামী করা হবে মর্মে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন এস আই সোহাইল রানা। ৪০ হাজার টাকা দিলেও তাদেরকে ওই মাদক মামলার সহযোগী আসামী করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সোহাইল রানা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখানে আটক বানিজ্য বা ফিটিং মামলা দেওয়া হয়নি।

কথা বললে বাগমারা থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ অরবৃন্দ সরকার বলেন, আটক বা ফিটিং মামলার কোনো সুযোগ নাই। তবে কেউ যদি এমন অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।