মহানবী(সাঃ)-কে হিন্দু পুরোহিত কর্তৃক কটুক্তি করার প্রতিবাদে মনোহরদীতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০১:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
শুক্রবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার সকল মুসুল্লীগণের আয়োজনে নরসিংদীর মনোহরদীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিত কতৃক কটুক্তি করার প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় কটুক্তি করেই যাচ্ছে। ভারতের পুরোহিতদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার এখতিয়ার নেই। ভণ্ড পুরোহিত মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তি করে যে কথা বলেছেন,সেটা মুসলমান কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। রাসূল (সা.) কে কটুক্তির দরুণ ভারতকে চরম মূল্য দিতে হবে।
নরসিংদীর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক তাজরিয়ান পৌষান ভূঁইয়া বলেন,আমি পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও আমি প্রত্যক্ষ ভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ছিলাম ও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে নিয়োজিত আছি। তবে দলমত সব কিছুর বাইরে আমি একজন মুসলিম,এটা আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়। আমার সবচেয়ে বড় নেতা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- মুসলিম বিশ্বের সব চেয়ে বড় নেতার অপমান আমরা সহ্য করব না। সমন্বয়ক নেতা আব্দুল জাব্বার বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় কটুক্তি করেই যাচ্ছে। ভারতের পুরোহিতদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার এখতিয়ার নেই। মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করে যে কথা বলেছেন, সেটা মুসলমান কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। অন্তরবর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কূটনৈতিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। ভারত সেকুলারিজমের নামে অন্য ধর্মের উপর বারবার আঘাত করতে পারে না।
মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড মসজিদের খতিব মাওলানা ওবায়দুল্লাহ্ বলেন, মহানবী (সা.)-কে মুসলমানগণ নিজের জান-মালের চেয়েও বেশি ভালবাসেন এবং এটা ঈমানের অংশ। সারাবিশ্বে নবী করিম(সাঃ)কে নিয়ে যারা-ই অপমান করবে তাদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা প্রতিবাদ করেই যাবে। প্রয়োজনে নবীর মান ও ইজ্জত রক্ষায় মুসলমানরা নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিতে সবসময় প্রস্তুত। দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকার পালিয়েছে। ভারতের দালালদেরকেও ঈমানদার জনতা হঠাতে সময় নিবে না। ভারত বাক স্বাধীনতার নামে মুসলমানদের রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে অপমান করলে মুসলমানরা নিরবে বসে থাকবে না। তারা জীবন দিয়ে হলেও রাসূল(সাঃ)এর ইজ্জত রক্ষা করবে, ইনশাআল্লাহ।