ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নান্দাইলে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা মামুনের মতবিনিময় সভা চির অবিশ্বাসী নারীচির অবিশ্বাসী নারী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ বছরেও চালু হয়নি ঢাকামুখি যান চলাচল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ বছরেও চালু হয়নি ঢাকামুখি যান চলাচল ভৈরব পঞ্চবটীতে প্রতিবেশীর বাসার ওয়্যারড্রোবে মিললো নিখোঁজ শিশুর মরদেহ ভৈরবে কার্ভার ভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে ৫ জন নিহত তাড়াইল উপজেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের কমিটি অনুমোদন । রাজশাহী আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখনও বৈষম্যর শিকার কর্মচারীরা ধনবাড়ীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণ ২ মাস আটকে রেখে ধর্ষন ॥ দেশ ছেড়ে পালাতে চাচ্ছে ধর্ষক

রাজশাহী আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখনও বৈষম্যর শিকার কর্মচারীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী: রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখনও বৈষম্য শিকার হচ্ছেন কর্মচারীরা। সাথে দুর্নীতি আর সরকারী টাকা লুটপাট তো রয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে কিছু সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অস্থায়ী ডেইলী বেতন ভুক্ত কিছু কর্মচারী রয়েছে। তারা যখন যোগদান করেন তখন তাদের বেতন ছিল দিন ৫০০ টাকা কিন্তু রহস্যজনকভাবে তাদের প্রত্যেকের বেতন থেকে ৫০ টাকা কেঁটে নিয়ে তাদেরকে ৪৫০ টাকা দেওয়া হয়। এরপর সরকার তাদের বেতন বাড়িয়ে ৬০০ টাকা দিন করলেও তারা এখনও ৫০ টাকা কম পাচ্ছে। ৫ আগষ্টের পর থেকে বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না বলে ঘোষণা দেন অভ্যন্তরীণ সরকার। তবুও তারা এখনোও বৈষম্য শিকার হচ্ছেন।

চাকুরী হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ্য না করা শর্তে এক কর্মচারী বলেন, রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী, সবেক সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও মোঃ মামুনুর রশিদ সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এই তিন জনের কারনে আজও আমরা বৈষম্যর শিকার। সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নুর আহমেদ মাছুম নতুন যোগদানের পর ভেবেছিলাম এখন সবকিছু স্বাভাবিক হবে কিন্ত সেটা এখনোও হয়নি। আরও অস্থায়ী কিছু কর্মচারী রয়েছে যারা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়েছে তাদের সম্পূর্ণ বেতন এবং সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় যেগুলি থেকে আমরা সবসময় বঞ্চিত। এছাড়াও সরকারিভাবে কোন প্রশিক্ষণ চালু হলে সেটার খরচ ৩-৪ গুণ বেশি দেখিয়ে সরকারি টাকা লুটপাট করে আসছেন উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী ও সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ মামুনুর রশিদ।

এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ মামুনুর রশিদ’কে মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি যার কারনে কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী প্রতিবেদককে জানান, যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছে তাকে নিয়ে আসেন আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নিবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজশাহী আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখনও বৈষম্যর শিকার কর্মচারীরা

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী: রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখনও বৈষম্য শিকার হচ্ছেন কর্মচারীরা। সাথে দুর্নীতি আর সরকারী টাকা লুটপাট তো রয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে কিছু সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অস্থায়ী ডেইলী বেতন ভুক্ত কিছু কর্মচারী রয়েছে। তারা যখন যোগদান করেন তখন তাদের বেতন ছিল দিন ৫০০ টাকা কিন্তু রহস্যজনকভাবে তাদের প্রত্যেকের বেতন থেকে ৫০ টাকা কেঁটে নিয়ে তাদেরকে ৪৫০ টাকা দেওয়া হয়। এরপর সরকার তাদের বেতন বাড়িয়ে ৬০০ টাকা দিন করলেও তারা এখনও ৫০ টাকা কম পাচ্ছে। ৫ আগষ্টের পর থেকে বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না বলে ঘোষণা দেন অভ্যন্তরীণ সরকার। তবুও তারা এখনোও বৈষম্য শিকার হচ্ছেন।

চাকুরী হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ্য না করা শর্তে এক কর্মচারী বলেন, রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী, সবেক সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও মোঃ মামুনুর রশিদ সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এই তিন জনের কারনে আজও আমরা বৈষম্যর শিকার। সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নুর আহমেদ মাছুম নতুন যোগদানের পর ভেবেছিলাম এখন সবকিছু স্বাভাবিক হবে কিন্ত সেটা এখনোও হয়নি। আরও অস্থায়ী কিছু কর্মচারী রয়েছে যারা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়েছে তাদের সম্পূর্ণ বেতন এবং সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় যেগুলি থেকে আমরা সবসময় বঞ্চিত। এছাড়াও সরকারিভাবে কোন প্রশিক্ষণ চালু হলে সেটার খরচ ৩-৪ গুণ বেশি দেখিয়ে সরকারি টাকা লুটপাট করে আসছেন উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী ও সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ মামুনুর রশিদ।

এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ মামুনুর রশিদ’কে মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি যার কারনে কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী প্রতিবেদককে জানান, যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছে তাকে নিয়ে আসেন আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নিবো।