ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সময়ের ভাবনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
প্রশিক্ষণে (training) নাম দিতে উপহার বা ঘুষ চাওয়া এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাস্তবে অনেক শিক্ষা অফিসে এটা হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ, যা শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের জন্য হওয়া উচিত, সেখানে যদি কেউ উপহার বা টাকা ছাড়া নাম অন্তর্ভুক্ত না করে, সেটা সরাসরি দুর্নীতি এবং আইনের লঙ্ঘন।
 এটি কী ধরনের অপরাধ:
দুর্নীতির দমন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী ঘুষ নিলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সরকারি প্রশিক্ষণের সুযোগ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা ক্ষমতার অপব্যবহার।
আপনি এখন কী করতে পারেন:
 ১. লিখিত অভিযোগ প্রস্তুত করুন (গোপনেও করা যায়):
দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)-এ অভিযোগ করতে পারেন। তাদের ওয়েবসাইট: https://acc.org.bd
সরাসরি কল করতে পারেন ১০৬ নম্বরে (ফ্রি কল, গোপনীয়তা রাখা হয়)।
চাইলে অভিযোগের নাম প্রকাশ না করেও জমা দিতে পারেন।
 ২. প্রমাণ থাকলে সংরক্ষণ করুন:
অডিও রেকর্ড, স্ক্রিনশট, চ্যাট বা সাক্ষীর বিবৃতি থাকলে তা সংরক্ষণ করুন।
এগুলো অভিযোগের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়।
 ৩. RTI (তথ্য অধিকার আইন) ব্যবহার করে জানুন:
“এই প্রশিক্ষণে কারা অংশ নিচ্ছে, কীভাবে বাছাই হয়েছে”—এই প্রশ্ন আপনি লিখিতভাবে করতে পারেন।
অফিস বাধ্য তথ্য দিতে। না দিলে, সেটিও একটি অভিযোগের ভিত্তি হয়।
 ৪. স্থানীয় বা জেলা শিক্ষা অফিসকে জানাতে পারেন:
যদি সমস্যাটি উপজেলা শিক্ষা অফিসে হয়, তাহলে জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করতে পারেন।
অভিযোগে নাম প্রকাশ না করেও করা যায়, তবে যোগাযোগের মাধ্যম রাখলে উত্তর পাওয়া সহজ হয়।
#বিঃদ্রঃ অনেক অফিসের কর্মচারী, কর্মকর্তার কাছে ট্রেনিং বা কোন বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার ক্ষেত্রে ইউ,এন,ও মহোদয় বা জেলা শিক্ষা অফিসার বা ডিসি মহোদয় এর রেফারেন্স টানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সময়ের ভাবনা

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
প্রশিক্ষণে (training) নাম দিতে উপহার বা ঘুষ চাওয়া এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাস্তবে অনেক শিক্ষা অফিসে এটা হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ, যা শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের জন্য হওয়া উচিত, সেখানে যদি কেউ উপহার বা টাকা ছাড়া নাম অন্তর্ভুক্ত না করে, সেটা সরাসরি দুর্নীতি এবং আইনের লঙ্ঘন।
 এটি কী ধরনের অপরাধ:
দুর্নীতির দমন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী ঘুষ নিলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সরকারি প্রশিক্ষণের সুযোগ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা ক্ষমতার অপব্যবহার।
আপনি এখন কী করতে পারেন:
 ১. লিখিত অভিযোগ প্রস্তুত করুন (গোপনেও করা যায়):
দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)-এ অভিযোগ করতে পারেন। তাদের ওয়েবসাইট: https://acc.org.bd
সরাসরি কল করতে পারেন ১০৬ নম্বরে (ফ্রি কল, গোপনীয়তা রাখা হয়)।
চাইলে অভিযোগের নাম প্রকাশ না করেও জমা দিতে পারেন।
 ২. প্রমাণ থাকলে সংরক্ষণ করুন:
অডিও রেকর্ড, স্ক্রিনশট, চ্যাট বা সাক্ষীর বিবৃতি থাকলে তা সংরক্ষণ করুন।
এগুলো অভিযোগের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়।
 ৩. RTI (তথ্য অধিকার আইন) ব্যবহার করে জানুন:
“এই প্রশিক্ষণে কারা অংশ নিচ্ছে, কীভাবে বাছাই হয়েছে”—এই প্রশ্ন আপনি লিখিতভাবে করতে পারেন।
অফিস বাধ্য তথ্য দিতে। না দিলে, সেটিও একটি অভিযোগের ভিত্তি হয়।
 ৪. স্থানীয় বা জেলা শিক্ষা অফিসকে জানাতে পারেন:
যদি সমস্যাটি উপজেলা শিক্ষা অফিসে হয়, তাহলে জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করতে পারেন।
অভিযোগে নাম প্রকাশ না করেও করা যায়, তবে যোগাযোগের মাধ্যম রাখলে উত্তর পাওয়া সহজ হয়।
#বিঃদ্রঃ অনেক অফিসের কর্মচারী, কর্মকর্তার কাছে ট্রেনিং বা কোন বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার ক্ষেত্রে ইউ,এন,ও মহোদয় বা জেলা শিক্ষা অফিসার বা ডিসি মহোদয় এর রেফারেন্স টানে।