ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটের চাপাকলে বাংলাদেশ

কবি স্বপন আহাম্মেদ
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিল বলেই সেদিন বাংলা স্বাধীন হয়ে ছিল। ত্রিশ লক্ষ মানুষ সেইদিন জীবন দিয়ে ছিল। দুই লক্ষ মা বোন তাদের ইজ্জত হারিয়েছিল। সেই স্বপ্ন আজ ও পূর্ণ হয়নি। সারা বাংলা জুড়ে আজ দুর্নীতি অনিয়ম অবিচার কালোবাজারি স্বজনপ্রীতি, দুঃশাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার আর সিন্ডিকেটের, আখড়ার পরিনতি হয়েছে। যেদিকে চোখ যায় দেখি কেবল অন্যায় অত্যাচার আর অমানুষের বিচরণ। কোথাও নেই একটু খানি শান্তি। নেই মানির মান। মানুষের মনে নেই সুখ, চারিদিকে ঘিরে আছে হাহাকার। অভাব আর অভাব, অভাবের যাতা কলে দেশের মানুষ আজ বন্দি। সেই অভাবের সুযোগ নিয়ে দেশে গড়ে উঠেছে হাজারও সিন্ডিকেট। বাংলার মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট গুলো। মাকড়সার জালের মত সারা বাংলার গড়ে উঠেছে এই সকল সেন্ডিকেট।সর্বক্ষেত্রে এই সিন্ডিকেট, কোথায় নেই এই সিন্ডিকেট। বাজারে গেলে সিন্ডিকেট গাড়িতে গেলে সিন্ডিকেট
আদালতে গেলে সিন্ডিকেট, বিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট । মাছ কিনতে সিন্ডিকেট। চাল কিনতে সিন্ডিকেট, সেখানে যাবেন সেখানেই সিন্ডিকেট, রাজনৈতিক মাঠে সেন্ডিকেট, চাকরিতে সেন্ডিকেট ব্যবসায় সেন্ডিকেট এতো এতো সিন্ডিকেট যে পা ফেলার মতো তিল ঠাই জায়গায় নাই। বাড়ি করতে সেন্ডিকেট গাড়ি কিনতে সেন্ডিকেট, গরু কিনতে সিন্ডিকেট, পোশাক কিনতে সিন্ডিকেট, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পার করতে হয় সিন্ডিকেট এর ভিতর দিয়ে। এতো সব সিন্ডিকেটের সিড়ি পার হতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হারিয়েছে তাদের অধিকার । আজ মানুষ স্বাধীন বাংলা স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার নেই, ভাতের অধিকার নেই। শিক্ষার অধিকার নেই। চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। কেবল নেই আর নেই।মানুষের সঠিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে সারা বাংলা থেকে এই সেন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে। অসাধু কাজকারবারের সাথে জড়িত সকল সেন্ডিকেট আগে ভেঙে ফেলা অতি জরুরী। এরা সিন্ডিকেটের নাম করে মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। আসল কথা হলো কে ভাঙবে এই সব সেন্ডিকেট। দেশের আমলা মন্ত্রী নেতা সমাজ সেবক
সবাই তো এই সেন্ডিকেট গুলোর সাথে জড়িত। যে কোন ভাবেই তাঁরা জড়িত। কেউ প্রকাশে কেউ গোপনে জড়িত হয়ে তারা দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের ভাগ্য নিয়ে খেলা করছে।
বাংলার একটা কথা আছে যে সরিষা দিয়ে ভূত তাড়াবো সে সরিষার মধ্যেই ভুত। সমাজের এই সকল ভুত যতো দিন সরিষার ভিতর থাকবে ততদিন এই সেন্ডিকেট গুলো তাদের স্বার্থ হাছিলের জন্য দেশ মানুষের অধিকার কেড়ে নিবে।
দেশকে বাঁচাতে হলে স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হলে। বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। কালোবাজারি, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ঘুষ আর এই সেন্ডিকেট, মানুষ ভাত পায়না ঠিক মত আর এরা সিন্ডিকেটের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নীয়ে বিদেশে ডলার জমায়। সিন্ডিকেটের নামে যাঁরা ক্ষমতার কালো অন্ধকারে নেমে বিদেশে পাড়ি জমায় তারাই বা তাদের মনের ভিতর কোন রকম দেশ প্রেম নেই।তাই এরা সিন্ডিকেটের নামে দুর্নীতি করে চলেছে দেশের সাথে বেইমানি করে ক্ষমতার চেয়ারে বসে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। এদের থামাতে হবে। থামাতে না পারলে দেশ জাতি মানুষ সহ সবকিছু ধ্বংস করে দেবে। বাংলাদেশে কোন সেন্ডিকেট যাতে না থাকে তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। একযোগে একসাথে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে সরকার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সহ সবাইকে।

(২য় পর্বে থাকবে সিন্ডিকেটের কুফল)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিন্ডিকেটের চাপাকলে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিল বলেই সেদিন বাংলা স্বাধীন হয়ে ছিল। ত্রিশ লক্ষ মানুষ সেইদিন জীবন দিয়ে ছিল। দুই লক্ষ মা বোন তাদের ইজ্জত হারিয়েছিল। সেই স্বপ্ন আজ ও পূর্ণ হয়নি। সারা বাংলা জুড়ে আজ দুর্নীতি অনিয়ম অবিচার কালোবাজারি স্বজনপ্রীতি, দুঃশাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার আর সিন্ডিকেটের, আখড়ার পরিনতি হয়েছে। যেদিকে চোখ যায় দেখি কেবল অন্যায় অত্যাচার আর অমানুষের বিচরণ। কোথাও নেই একটু খানি শান্তি। নেই মানির মান। মানুষের মনে নেই সুখ, চারিদিকে ঘিরে আছে হাহাকার। অভাব আর অভাব, অভাবের যাতা কলে দেশের মানুষ আজ বন্দি। সেই অভাবের সুযোগ নিয়ে দেশে গড়ে উঠেছে হাজারও সিন্ডিকেট। বাংলার মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট গুলো। মাকড়সার জালের মত সারা বাংলার গড়ে উঠেছে এই সকল সেন্ডিকেট।সর্বক্ষেত্রে এই সিন্ডিকেট, কোথায় নেই এই সিন্ডিকেট। বাজারে গেলে সিন্ডিকেট গাড়িতে গেলে সিন্ডিকেট
আদালতে গেলে সিন্ডিকেট, বিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট । মাছ কিনতে সিন্ডিকেট। চাল কিনতে সিন্ডিকেট, সেখানে যাবেন সেখানেই সিন্ডিকেট, রাজনৈতিক মাঠে সেন্ডিকেট, চাকরিতে সেন্ডিকেট ব্যবসায় সেন্ডিকেট এতো এতো সিন্ডিকেট যে পা ফেলার মতো তিল ঠাই জায়গায় নাই। বাড়ি করতে সেন্ডিকেট গাড়ি কিনতে সেন্ডিকেট, গরু কিনতে সিন্ডিকেট, পোশাক কিনতে সিন্ডিকেট, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পার করতে হয় সিন্ডিকেট এর ভিতর দিয়ে। এতো সব সিন্ডিকেটের সিড়ি পার হতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হারিয়েছে তাদের অধিকার । আজ মানুষ স্বাধীন বাংলা স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার নেই, ভাতের অধিকার নেই। শিক্ষার অধিকার নেই। চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। কেবল নেই আর নেই।মানুষের সঠিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে সারা বাংলা থেকে এই সেন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে। অসাধু কাজকারবারের সাথে জড়িত সকল সেন্ডিকেট আগে ভেঙে ফেলা অতি জরুরী। এরা সিন্ডিকেটের নাম করে মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। আসল কথা হলো কে ভাঙবে এই সব সেন্ডিকেট। দেশের আমলা মন্ত্রী নেতা সমাজ সেবক
সবাই তো এই সেন্ডিকেট গুলোর সাথে জড়িত। যে কোন ভাবেই তাঁরা জড়িত। কেউ প্রকাশে কেউ গোপনে জড়িত হয়ে তারা দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের ভাগ্য নিয়ে খেলা করছে।
বাংলার একটা কথা আছে যে সরিষা দিয়ে ভূত তাড়াবো সে সরিষার মধ্যেই ভুত। সমাজের এই সকল ভুত যতো দিন সরিষার ভিতর থাকবে ততদিন এই সেন্ডিকেট গুলো তাদের স্বার্থ হাছিলের জন্য দেশ মানুষের অধিকার কেড়ে নিবে।
দেশকে বাঁচাতে হলে স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হলে। বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। কালোবাজারি, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ঘুষ আর এই সেন্ডিকেট, মানুষ ভাত পায়না ঠিক মত আর এরা সিন্ডিকেটের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নীয়ে বিদেশে ডলার জমায়। সিন্ডিকেটের নামে যাঁরা ক্ষমতার কালো অন্ধকারে নেমে বিদেশে পাড়ি জমায় তারাই বা তাদের মনের ভিতর কোন রকম দেশ প্রেম নেই।তাই এরা সিন্ডিকেটের নামে দুর্নীতি করে চলেছে দেশের সাথে বেইমানি করে ক্ষমতার চেয়ারে বসে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। এদের থামাতে হবে। থামাতে না পারলে দেশ জাতি মানুষ সহ সবকিছু ধ্বংস করে দেবে। বাংলাদেশে কোন সেন্ডিকেট যাতে না থাকে তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। একযোগে একসাথে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে সরকার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সহ সবাইকে।

(২য় পর্বে থাকবে সিন্ডিকেটের কুফল)