ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোরপূর্বক ভূমি দখল করে ভবন নির্মাণের চেষ্ঠা।।এলাকাবাসীর সহায়তায় নির্মাণ কাজ স্থগিত।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাকচর এলাকায় মৃত আবদুর রহমানের পুত্র মোঃ রফিক মিয়ার .০৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখলে

নিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন জনৈক মোঃ মন্জু নামক উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচ্যূত পিয়ন। মোঃ মন্জু নান্দাইল পৌর

এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড আচারগাঁও গ্রামের মৃত আঃ জব্বার ( সাবেক ভূমি অফিসের পিয়ন ) -এর পুত্র। স্থানীয় কাকচর এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী

ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে মন্জু মিয়া এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোঃ

রফিক মিয়া কাকচর এলাকার নান্দাইল মৌজায় ৪২৪২ খতিয়ানের ১২০৪৬ নং দাগের ২৮ শতাংশের খাত .০৫ শতাংশ জমি সাফ কাওলা দলিল মূলে

ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিলেন । রফিক মিয়ার ৪ ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই যথাক্রমে নূরুল ইসলাম, সেলিম মিয়া ও মজলু মিয়া তাদের পৈতৃক

সম্পত্তির অংশও ইতোপূর্বে বিক্রয় করে দিয়েছেন। বর্তমানে উক্ত ভাইয়েরা কিছু কুচক্রী লোকের পরামর্শে রফিকের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করার জন্য মোঃ

মন্জুকে দিয়ে তার ভূমিতে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মোঃ রফিক মিয়া নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী

কমিশনার (ভূমি) সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের জোরপূর্বক দখল করার বিষয়টি অবহিত করলে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর ) নান্দাইলে কর্মরত সাংবাদিকগণ

ঘটনাস্থলে গিয়ে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করার সত্যতা পেয়েছেন।

এসময় নান্দাইল সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, ‘হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি’ নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ

সেলিম ভূইয়া, মোঃ হাবিবুর রহমান ফকিরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী মন্জু মিয়াকে জমির মালিকানা বিষয়ক ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত ভবন নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার পরামর্শ

দেন।

মালিকানার প্রশ্নে মন্জু মিয়া বলেন, আমি জমিটি রফিকের ভাইদের কাজ থেকে খরিদ করেছি।

উপজেলা যুবদল নেতা রেজাউল করিম বিপ্লব মুঠোফোনে জানান, সহকারী কমিশনার ( ভুমি)মহোদয়কে নিয়ে জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।

মালিকানা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার কথাও বলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জোরপূর্বক ভূমি দখল করে ভবন নির্মাণের চেষ্ঠা।।এলাকাবাসীর সহায়তায় নির্মাণ কাজ স্থগিত।

আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাকচর এলাকায় মৃত আবদুর রহমানের পুত্র মোঃ রফিক মিয়ার .০৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখলে

নিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন জনৈক মোঃ মন্জু নামক উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচ্যূত পিয়ন। মোঃ মন্জু নান্দাইল পৌর

এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড আচারগাঁও গ্রামের মৃত আঃ জব্বার ( সাবেক ভূমি অফিসের পিয়ন ) -এর পুত্র। স্থানীয় কাকচর এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী

ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে মন্জু মিয়া এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোঃ

রফিক মিয়া কাকচর এলাকার নান্দাইল মৌজায় ৪২৪২ খতিয়ানের ১২০৪৬ নং দাগের ২৮ শতাংশের খাত .০৫ শতাংশ জমি সাফ কাওলা দলিল মূলে

ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিলেন । রফিক মিয়ার ৪ ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই যথাক্রমে নূরুল ইসলাম, সেলিম মিয়া ও মজলু মিয়া তাদের পৈতৃক

সম্পত্তির অংশও ইতোপূর্বে বিক্রয় করে দিয়েছেন। বর্তমানে উক্ত ভাইয়েরা কিছু কুচক্রী লোকের পরামর্শে রফিকের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করার জন্য মোঃ

মন্জুকে দিয়ে তার ভূমিতে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মোঃ রফিক মিয়া নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী

কমিশনার (ভূমি) সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের জোরপূর্বক দখল করার বিষয়টি অবহিত করলে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর ) নান্দাইলে কর্মরত সাংবাদিকগণ

ঘটনাস্থলে গিয়ে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করার সত্যতা পেয়েছেন।

এসময় নান্দাইল সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, ‘হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি’ নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ

সেলিম ভূইয়া, মোঃ হাবিবুর রহমান ফকিরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী মন্জু মিয়াকে জমির মালিকানা বিষয়ক ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত ভবন নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার পরামর্শ

দেন।

মালিকানার প্রশ্নে মন্জু মিয়া বলেন, আমি জমিটি রফিকের ভাইদের কাজ থেকে খরিদ করেছি।

উপজেলা যুবদল নেতা রেজাউল করিম বিপ্লব মুঠোফোনে জানান, সহকারী কমিশনার ( ভুমি)মহোদয়কে নিয়ে জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।

মালিকানা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার কথাও বলেন তিনি।