হালুয়াঘাটে চতুর্দিকে শুধু ধানের পচা গন্ধ
- আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
ফয়জুর রহমান, ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে আর স্পষ্ট হচ্ছে বন্যার ক্ষত চিহ্ন । বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় মানুষ জন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরতে শুরু
করেছে। কিন্তুু বাড়িতে গিয়ে দেখছেন নষ্ট হয়ে গেছে বাড়িতে থাকা অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র, অনেকের ঘরে পানি উঠার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে ফিজ,এবং অটবির তৈরি বিভিন্ন ফার্নিচার, খাট, শোকেস, ওয়ারড্র, ড্রেসিং টেবিল সোফা সহ সহ লক্ষ
লক্ষ টাকার ফার্নিচার। তাই নিয়ে অনেকের চোখে মুখে চিন্তার বাজ অনেক বছরে অনেক কষ্ট ও সাধনার পরে তিলে তিলে গুছিয়ে ছিল এ সকল আসবাবপত্র। এখন কি করে আবার এগুলো জোগাড় করবে তা নিয়ে দিশেহারা এ সকল ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারের সদস্যরা। অনেকেরই শেষ সম্বল ঘর টুকুও বানের পানিতে ভেঙে গেছে এখন কোথায় থাকবে কি করবে তা নিয়ে দিশেহারা এ সকল পরিবার।
অন্যদিকে বন্যার পানি কমতে থাকায় চারদিকে কৃষকের সোনালী ফসল ধান পচে যাওয়ার দৃশ্য সামনে আসছে চতুর্দিকে শুধু ধান পচার গন্ধ নাকে ভেসে আসছে। অনেক কৃষকের ধান আধা পাকা হয়ে গিয়েছিল যেগুলো কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে
গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছিল সাধারণ কৃষকরা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজ ভয়াবহ বন্যার কারণে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
বন্যার পানিতে ধান সহ বিভিন্ন সবজি বাগান পানিতে ডুবে পচে যাওয়ার ফলে পানি দূষিত হয়ে গেছে যার কারণে পানিতে থাকা মাছগুলো মরে যাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় হায়াঘাট উপজেলার ১১ নং আমতৈল ইউনিয়নের নাগলা বাজারে ইছামতি নদীতে হাজার হাজার মাছ পানিতে ভেসে উঠেছে অনেক মাছ মরে গেছে।
কৃষকের ধান এবং বিভিন্ন সবজি ক্ষেত, ফিসারি,পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে গেছে হালুয়াঘাটের হাজারো সাধারণ কৃষক।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন
এবারের অসময়ের আকস্মিক বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তা অপরোনীয়। তারপরেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ বন্যা দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রান সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যাদের ঘর বাড়ি ভেঙে গেছে তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করার জন্য উপজেলা
প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নগদ অর্থ ও ঢেউটিন প্রদান করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয় প্রনোদনা দেওয়া হবে। এবং বন্যার পানি কমে গেলে তাদেরকে সরিষা সহ বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য প্রয়োজনীয়
সার ও বীজ সরবরাহ করা হবে। যাতে করে আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা হলেও যেন পুষিয়ে নেয়া যায়।