নদীতে ঢল আসলেই রাত জেগে থাকি যদি নদী ঘরটা ভাইঙ্গা নেয়
- আপডেট সময় : ১২:৪০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
রাতে ঘুমাই না, নদীতে ঢল আসলে রাত জেগে বসে থাকি কখন যানি নদী ঘরটা ভাইঙ্গা নেয়। নিতে নিতে সব নিছেগা এহন শুধু থাকার ঘরটাই আছে। হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে এমন কথাগুলো বলেন বৃদ্ব বিধবা আছিয়া বেগম(৭০)। বিধবা আছিয়ার বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামে।
আছিয়ার সাথে কথা বলার সময় বলেন সরকার কত মাইনষেরে ঘর দিতাছে এইযে আমি পরিবার নিয়া এত কষ্ট করতাছি কেউ তো কিছু দেয় না। এক দিনও খুঁজ খবর নিতে আসে না নিবার্চনের সময় তো ঠিকই ভোট চাইবার আসে।
সন্তান-নাতিসহ ৭ জনের পরিবার নিয়ে ভোগাই নদীর তীরে ভাঙ্গা ছুঁড়া গড়ে থাকেন আছিয়া বেগমের। প্রতিবছরই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে আছিয়া বেগমের বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়। ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বাড়ি এখন ঘরে পরিনত হয়েছে। ভিটামাটি ছাড়া আর কিছুই নেই আছিয়া বেগমের। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোরকম দিন কেটে গেলেও জমি কিনে বাড়ি করা তার পক্ষে কখনো সম্ভব না। তাই সরকারি সহায়তার আঁশা করছেন পরিবারটি। আছিয়া বেগমের ছেলে বজলুর ইসলাম ফকির কিডনি রোগী হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারে না। যার ফলে এই বৃদ্ধার একার উপার্জনে চলে সংসার।
বজলুর ইসলাম বলেন আধা ভাঙ্গা এই গড়টা ছাড়া আমাদের আর কিছুই নাই। সরকার থেকে একটু জায়গা আর একটা ঘর পাইলে মাথা গুজার ঠাঁই টুকু হতো।
নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি গেলে দেখতে পারেন খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় দিন কাটছে আছিয়ার পরিবারের খুবই অসহায়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে আসছেন। ভোগাই নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে আজ তাঁরা নিঃস্ব। তাদের যেনো সরকারীভাবে জমি ও ঘর দেওয়া হয় এমন দাবি এলাকাবাসীর।
সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ আর ভারতের পাহাড়ি ঢলে ভোগাই নদী আছিয়ার বাড়ির পাশের ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫-২০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।শেষ চিহ্নটুকু নিশ্চিহ্ন হওয়ার আতংকে আছিয়া বেগমের পরিবার। পানিবন্দি অধিকাংশ পরিবার ভ্যানচালক ও দিনমজুর।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা কে জানালে বিষয়টি আমি আগে থেকে অবগত নয় তবে এখন জানতে পারলাম পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।